Saturday, September 26, 2020

আপনি কি চান যে জান্নাত আপনার জন্য দোয়া করুক তাহলে এই দোয়াটি পড়ুন

 

 আপনি কি চান যে জান্নাত আপনার জন্য দোয়া করুক তাহলে এই দোয়াটি পড়ুন

         আপনি কি চান মৃত্যুর পর আপনি জান্নাতে যেতে, আপনি কি চান যে, জান্নাত আপনার  জন্য দোয়া করুক, তাহলে নিম্নের দোয়াটি প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা ৩বার করে পড়ুন। আবার কোন কোন হাদিসে আছে, জান্নাত যেহেতু আটটি তাই ৮বার করে পড়তে হবে। তাই কোন মতবেদ তৈরী না করে আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তওফিক অনুযায়ী   আমল করার তওফিক দান করুন। আমিন।

দোয়াটি হলো:-

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْجَنَّةَ وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ النَّارِ

উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল জান্নাতা ওয়া আ’উযু বিকা মিনান্নার।

অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে জান্নাত চাই এবং জাহান্নাম থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাই।

         রাসুলুল্লাহ (স:) বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে ৩ বার জান্নাত প্রার্থনা করে, জান্নাত আল্লাহর কাছে দোয়া করে, হে আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করো। যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে ৩ বার জাহান্নাম থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করে, জাহান্নাম আল্লাহর কাছে দোয়া করে, হে আল্লাহ তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিন”। (তিরমিযিঃ ২৫৭২, ইবনে মাজাহ ৪৩৪০) 

 

কবরের আজাব থেকে মাফের দোয়া

 

কবরের আজাব থেকে মাফের দোয়া 

       

দোয়াটি হলো:- আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল আযাবিন কবর।  

       অর্থ:- হে আল্লাহ তুমি আমাকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করো। 


       নিয়ম:- প্রতিদিন প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর ১বার করে পড়তে হবে।

জাহান্নাম থেকে বাঁচতে চান তাহলে এই দোয়াটি প্রতিদিন পড়ুন

 

জাহান্নাম থেকে বাঁচতে চান তাহলে এই দোয়াটি প্রতিদিন পড়ুন 

 

           রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ফজর ও মাগরিবের নামাজের পর কথা বলার পূর্বে সাত বার এ দোয়াটি পড়া। যদি কেউ ফজরের পর পড়ে এবং ঐ দিনের মধ্যে মারা যায়, ঐ ব্যক্তি জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করবে। আর কেউ যদি মাগরিবের নামাজের পর এ দোয়াটি পড়ে এবং ঐ রাতে মারা যায় তবে তার জন্য জাহান্নাম হতে মুক্তি লিখে দেওয়া হয়। (মিশকাত, আবু দাউদ)

সুতরাং মুসলিম উম্মাহর উচিত, ফজর ও মাগরিবের নামাজের পর এ দোয়াটি ৭ বার পড়া।

 

 দোয়াটি হলো :- আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান নার।

অর্থ:- হে আল্লাহ! আপনি আমাদিগকে জাহান্নামের (ভয়াবহ) আজাব থেকে মুক্তি দান করুন।

 

Thursday, September 24, 2020

সুরা তওবার শেষ ২টি আয়াত ও তার ফযিলত

 

সুরা তওবার শেষ ২টি আয়াত ও তার ফযিলত

           ফযিলত:- কাফেররা ইসলামের সত্যতা এবং রাসুল (স:) এর মোজেযা দেখেও তার সাথে বিভিন্ন ধরনের কটুতর্কে লিপ্ত হতো। তাদের এহেন দৃষ্টতা পূর্বআচরনের উত্তরস্বরূপ আয়াত দুুটি নাযিল করে। আল্লাহ বলেছেন যে, তোমরা অন্যায়ভাবে তাকে অপমান অত্যাচারে জর্জরিত করছো। অথচ তারপরেও তিনি তোমাদের কল্যাণের জন্য দোয়া করে থাকেন। কারন তিনি সত্য নবী। রাসূল (স:) এর দোয়া এবং আল্লাহর সাহায্য ও তার প্রতি নির্ভরতার বর্ণনা থাকায় আয়াত দুইটির আমলে আল্লাহর দয়া ও ক্ষমা লাভ হয়। নিয়মিত পাঠে স্বপ্নে রাসূল (স:) এর যিয়ারত লাত হয়। 

             প্রত্যেক নামাজের পর আয়াত দুইটি পড়লে রোজ হাশরে রাসূল (স:) এর শাফায়াত লাভ হইবে।

          হাদিসে আছে ফরজ নামাজের পরে আয়াত দুইটি ৭ বার পড়লে দুর্বল থাকলে বলবান হবে, লাঞ্চিত থাকলে সম্মানিত হবে, দরিদ্র থাকলে ধনবান হবে, বিপদগ্রস্থ থাকলে বিপদমুক্ত হবে, অপমৃত্যু হবে না, আয়ু বৃদ্ধি পাবে, সকল কাজ সহজ সাধ্য হবে, পীড়িত অবস্থায় পরলে আরোগ্য লাভ করবে।      

           উচ্চারণ : লাক্বাদ ঝা-আকুম রাসু-লুম মিন আনফুসিকুম আযিযুন আলাইহি মা- আনিত্তুম হারিছুন আলাইকুম বিলমু’মিনি-না রাউ’-ফুর রাহি-ম। ফা ইং তাওয়াল্লাও ফাক্বুল হাসবিয়াল্লা-হু লা- ইলা-হা ইল্লা- হুয়া আলাইহি তাওয়াক্‌কাল্‌তু ওয়া হুয়া রাব্বুল আ’রশিল আজি-মি। (সুরা তওবা : আয়াত ১২৮-১২৯ )

সুরা বাকারার শেষ দুইটি আয়াত ও তার ফযিলত

 সুরা বাকারার শেষ দুইটি আয়াত ও তার ফযিলত

               ফযিলত:- সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত প্রসঙ্গে নবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রাতে এ দুটি আয়াত পাঠ করবে, তার জন্য এটাই যথেষ্ট।’ 

           আল্লাহ তায়ালা রাসুল্লুলাহ (স:) -কে দুইটি আলোর ভান্ডার দান করেছেন, একটি হলো সুরা ফাতিহা এবং অন্যটি হলো সুরা বাকারার শেষ দুইটি আয়াত।  রাসূল (স:) বলেছেন সমস্ত কোর আনের শোভা সুরা বাকারা । আর এই সুরার শোভা হলো এর শেষ দুইটি আয়াত। (মেশকাত শরীফ) 

            আয়াত দুইটি যারা প্রতিদিন পড়বে তারা আল্লাহর কাছে যা চাইবে তাই পাইবে।  রাতে পড়লে হেফাযত থাকবে। 

           আবু মাসউদ (রা:) বলেন, রাসূল (স:) ফরমান , যে ব্যক্তি সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত রাতে পড়বে তার জন্য তা যথেষ্ঠ হবে।

            জুবাইর ইবনু নুফাইর (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সুরা আল-বাকারাকে আল্লাহ তাআলা এমন দুটি আয়াত দ্বারা শেষ করেছেন, যা আমাকে আল্লাহর আরশের নিচের ভান্ডার থেকে দান করা হয়েছে। তাই তোমরা এ আয়াতগুলো শিখবে। তোমাদের স্ত্রীদেরও শেখাবে। কারণ এ আয়াতগুলো হচ্ছে রহমত, (আল্লাহর) নৈকট্য লাভের উপায় ও (দীন দুনিয়ার সকল) কল্যাণলাভের দোয়া।’ [মিশকাতুল মাসাবিহ: ২১৭৩]

         বদরি সাহাবি আবু মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সুরা বাকারার শেষে এমন দুটি আয়াত রয়েছে, যে ব্যক্তি রাতের বেলা আয়াত দুটি তিলাওয়াত করবে, তার জন্য এ আয়াত দুটোই যথেষ্ট। অর্থাৎ রাতে কোরআন মজিদ তিলাওয়াত করার যে হক রয়েছে, কমপক্ষে সুরা বাকারার শেষ দুটি আয়াত তিলাওয়াত করলে তার জন্য তা যথেষ্ট।’ [সহিহ্ বুখারি: ৪০০৮]

           আয়াত দুইটি হলো:- আমানার রাসুলু বিমা উনঝিলা ইলাইহি মিররাব্বিহি ওয়াল মুমিনুন। কুল্লুন আমানা বিল্লাহি ওয়া মালা ইকাতিহি ওয়া কুতুবিহি ওয়া রুসুলিহি লা নুফাররিকু বাইনা আহাদিম মির রুসুলিহি। ওয়া কালু সামিনা ওয়া আতানা গুফরানাকা রাব্বানা ওয়া ইলাইকাল মাসির। লা ইউকাল্লিফুল্লাহু নাফসান ইল্লা উসআহা–লাহা মা কাসাবাত ওয়া আলাইহা মাকতাসাবাত–রাব্বানা লা তুআখিজনা ইননাসিনা আও আখতানা–রাব্বানা ওয়া লা তাহমিল আলাইনা ইসরান কামা হামালতাহু আলাল্লাজিনা মিন ক্বাবলিনা– রাব্বানা ওয়া লা তুহাম্মিলনা মালা তওয়া কাতা লানা বিহি–ওয়াফু আন্না ওয়াগফিরলানা ওয়ারহামনা– আংতা মাওলানা ফানসুরনা আলাল কাওমিল কাফিরিন।’ (সুরা বাকারা: আয়াত ২৮৫-২৮৬)

সকল প্রকার ক্ষতির হাত থেকে বাঁচার দোয়া

 

সকল প্রকার ক্ষতির হাত থেকে বাঁচার দোয়া

       হাদিসে বর্নিত আছে যে, যদি কেহ প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যা যেমন ফজর ও মাগরীবের নামাজের পর উল্লেখিত দোয়াটি ৩বার করে পাঠ করে তাহলে সেই ব্যক্তি সকল প্রকার ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাইবে(ইনশাআল্লা) 

 

দোয়াটি হলো: বিসমিল্লাহিল্লাযী লা-ইয়াদ্বুররু মায়াসমিহি শাইয়ুন ফিল আরদী অলা ফিস-সামায়ি অ-হুয়াস সামিয়ুল আলীম।

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের তাছবীহ্ ও তার ফযিলত

 

দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের পর নিম্নোক্ত তাছবীহ্ সমূহ প্রত্যেকটি ১০০ বার করে পাঠ করিলে আল্লাহর রহমতে তাহার ইহকাল ও পরকালের সব রকম কল্যাণ অবধারিত: 

 

১। হুয়াল হাইয়্যুল্-কাইয়্যুম- ফজরের নামাজের পর ১০০শত বার।

২। হুয়াল আলিয়্যুল আ’যীম- যোহরের নামাজের পর ১০০শত বার।

৩। হুয়ার রাহমানুর রাহীম- আছরের নামাজের পর ১০০শত বার।

৪। হুয়াল গাফুরুর রাহীম- মাগরীবের নামাজের পর ১০০শত বার।

৫। হুয়াল লাত্বীফুল খারিব- এশার নামাজের পর ১০০শত বার।

Wednesday, September 23, 2020

গলোবন্ধ দোয়া বা শত্রুর শত্রুতা থেকে বাঁচার দোয়া

 

 গলোবন্ধ দোয়া বা শত্রুর শত্রুতা থেকে বাঁচার দোয়া 

 
      উচ্চারণ: আল্লাহুম্মান সূরণা আলা কুল্লি আদুয়িন সাগীরীন কানা আও কাবিরিন যাকারিন ওয়া উনসা, হুররিন ওয়া আবদিন শাহিদিন ওয়া গায়িবিন শারীফিন, মুসলেমান কাফেরান, লা তুসাল্লিত আলাইনা মাল-লা  ইয়া খাফুকা ওয়া ইয়ারহামনা, ইয়া আল্লাহু, ইয়া আহাদু ইয়া সামাদু ইয়া রাব্বি, ইয়া গাফুরু, ইয়া শাকুরু, বিরাহমাতিকা আগিসনী ইয়া মান হুয়া ইল্লা হুয়া ইয়া লা-ইলাহা হুয়া, বিসমিল্লাহি মাজরেহা ওয়া মুরসাহা ইন্না রাব্বী লা-গাফুরুর রাহীম। ওয়া সাল্লাল্লাহু আলা খায়রি খালকিহী মুহাম্মাদিও ওয়া আলিহী ওয়া আসহাবিহী আজমাঈন। বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন।

সূত্র: মক্বছুদুল মুমীন বা বেহেশতের পথ 


 ফযিলত:- এই দোয়াটি দোয়ায়ে গলোবন্ধ নামে পরিচিত। এই দোয়াটি সর্বদা পড়িলে ও লিখিয়া গলায় রাখিলে ছোট-বড়, নারী-পুরুষ, উপস্থিত-অনুপস্থিত, মুসলমান, কাফের-মোশরেক , উচঁ-নীচু, সকল প্রকার শত্রুর শত্রুতা থেকে হেফাযত থাকিবে। এই দোয়া পাঠ করিলে ধর্মযুদ্ধে জয়ী হইবে।

সাইয়েদুল ইসতিগফার

 

রাসূলুল্লাহ (স:) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে এই দো‘আ সকালে বা দিনে ১ বার এবং সন্ধ্যায় বা রাতে ১বার পাঠ করে, সেই ব্যক্তি যদি দিনে বা রাতে মারা যায় তাহলে সে জান্নাতবাসী হইবে।  (বুখারী শরীফ)

اَللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّىْ لآ إِلهَ إلاَّ أَنْتَ خَلَقْتَنِىْ وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّمَا صَنَعْتُ، أبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَىَّ وَأَبُوْءُ بِذَنْبِىْ فَاغْفِرْلِىْ، فَإِنَّهُ لاَيَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা আনতা রব্বী লা ইলা-হা ইল্লা আনতা খালাক্বতানী, ওয়া আনা ‘আবদুকা ওয়া আনা ‘আলা ‘আহদিকা ওয়া ওয়া‘দিকা মাসতাত্বা‘তু, আ‘ঊযুবিকা মিন শার্রি মা ছানা‘তু। আবূউ লাকা বিনি‘মাতিকা ‘আলাইয়া ওয়া আবূউ বিযাম্বী ফাগফিরলী ফাইন্নাহূ লা ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আনতা।


অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তুমি আমার পালনকর্তা। তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমার দাস। আমি আমার সাধ্যমত তোমার নিকটে দেওয়া অঙ্গীকারে ও প্রতিশ্রুতিতে দৃঢ় আছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট হ’তে তোমার নিকটে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি আমার উপরে তোমার দেওয়া অনুগ্রহকে স্বীকার করছি এবং আমি আমার গোনাহের স্বীকৃতি দিচ্ছি। অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা কর। কেননা তুমি ব্যতীত পাপসমূহ ক্ষমা করার কেউ নেই’।

দুরুদে আকবর এর ২য় খন্ড

  দুরুদে আকবর এর ২য় খন্ড