সুরা বাকারার শেষ দুইটি আয়াত ও তার ফযিলত
ফযিলত:- সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত প্রসঙ্গে নবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রাতে এ দুটি আয়াত পাঠ করবে, তার জন্য এটাই যথেষ্ট।’
আল্লাহ তায়ালা রাসুল্লুলাহ (স:) -কে দুইটি আলোর ভান্ডার দান করেছেন, একটি হলো সুরা ফাতিহা এবং অন্যটি হলো সুরা বাকারার শেষ দুইটি আয়াত। রাসূল (স:) বলেছেন সমস্ত কোর আনের শোভা সুরা বাকারা । আর এই সুরার শোভা হলো এর শেষ দুইটি আয়াত। (মেশকাত শরীফ)
আয়াত দুইটি যারা প্রতিদিন পড়বে তারা আল্লাহর কাছে যা চাইবে তাই পাইবে। রাতে পড়লে হেফাযত থাকবে।
আবু মাসউদ (রা:) বলেন, রাসূল (স:) ফরমান , যে ব্যক্তি সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত রাতে পড়বে তার জন্য তা যথেষ্ঠ হবে।
জুবাইর ইবনু নুফাইর (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সুরা আল-বাকারাকে আল্লাহ তাআলা এমন দুটি আয়াত দ্বারা শেষ করেছেন, যা আমাকে আল্লাহর আরশের নিচের ভান্ডার থেকে দান করা হয়েছে। তাই তোমরা এ আয়াতগুলো শিখবে। তোমাদের স্ত্রীদেরও শেখাবে। কারণ এ আয়াতগুলো হচ্ছে রহমত, (আল্লাহর) নৈকট্য লাভের উপায় ও (দীন দুনিয়ার সকল) কল্যাণলাভের দোয়া।’ [মিশকাতুল মাসাবিহ: ২১৭৩]
বদরি সাহাবি আবু মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সুরা বাকারার শেষে এমন দুটি আয়াত রয়েছে, যে ব্যক্তি রাতের বেলা আয়াত দুটি তিলাওয়াত করবে, তার জন্য এ আয়াত দুটোই যথেষ্ট। অর্থাৎ রাতে কোরআন মজিদ তিলাওয়াত করার যে হক রয়েছে, কমপক্ষে সুরা বাকারার শেষ দুটি আয়াত তিলাওয়াত করলে তার জন্য তা যথেষ্ট।’ [সহিহ্ বুখারি: ৪০০৮]
আয়াত দুইটি হলো:- আমানার রাসুলু বিমা উনঝিলা ইলাইহি মিররাব্বিহি ওয়াল মুমিনুন। কুল্লুন আমানা
বিল্লাহি ওয়া মালা ইকাতিহি ওয়া কুতুবিহি ওয়া রুসুলিহি লা নুফাররিকু বাইনা
আহাদিম মির রুসুলিহি। ওয়া কালু সামিনা ওয়া আতানা গুফরানাকা রাব্বানা ওয়া
ইলাইকাল মাসির। লা ইউকাল্লিফুল্লাহু নাফসান ইল্লা উসআহা–লাহা মা কাসাবাত
ওয়া আলাইহা মাকতাসাবাত–রাব্বানা লা তুআখিজনা ইননাসিনা আও আখতানা–রাব্বানা
ওয়া লা তাহমিল আলাইনা ইসরান কামা হামালতাহু আলাল্লাজিনা মিন ক্বাবলিনা–
রাব্বানা ওয়া লা তুহাম্মিলনা মালা তওয়া কাতা লানা বিহি–ওয়াফু আন্না
ওয়াগফিরলানা ওয়ারহামনা– আংতা মাওলানা ফানসুরনা আলাল কাওমিল কাফিরিন।’ (সুরা
বাকারা: আয়াত ২৮৫-২৮৬)
No comments:
Post a Comment