১ বার এই দোয়া পাঠ করলে আল্লাহতায়ালা ৭০ বার রহমতের দৃষ্টিতে তাকাবেন
প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর ১বার করে এই দোয়াগুলো পাঠ করলে আল্লাহতায়ালা ৭০ বার রহমতের দৃষ্টিতে তাকাবেন এবং এর আরও কিছু ফযিলত আছে।
১। ৭০ বার রহমতের দৃষ্টিতে তাকাবেন।
২। ৭০টি গুনাহ মাফ হবে।
৩। ৭০টি প্রয়োজন পূড়ন হবে ইত্যাদি।
১। বিসমিল্লাহসহ সুরা ফাতিহা -১বার (নিম্নে উল্লেখ করে দেওয়া হলো)
২। আয়াতুল কুরসী-১বার (নিম্নে উল্লেখ করে দেওয়া হলো)
৩। সুরা আল-ইমরানের -১৮ ও ১৯ এবং ২৬ ও ২৭ নম্বর আয়াত (নিম্নে উল্লেখ করে দেওয়া হলো।
সুরা ফাতিহা:
উচ্চারণ : আলহামদু লিল্লাহি রব্বিল আ -লামি-ন। আররহমা-নির রাহি-ম। মা-লিকি ইয়াওমিদ্দি-ন। ইয়্যা-কা না’বুদু ওয়া ইয়্যা-কা নাসতাই’-ন। ইহদিনাস সিরাতা’ল মুসতাকি’-ম। সিরাতা’ল্লা যি-না আনআ’মতা আ’লাইহিম গা’ইরিল মাগ’দু’বি আ’লাইহিম ওয়ালা দ্দ-ল্লি-ন। আমীন।
অনুবাদ : অতি দয়ালু। যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা। যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু। বিচার দিনের একমাত্র অধিপতি। আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। আমাদের সরল পথ দেখাও। সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের
প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।
আয়াতুল কুরসীর উচ্চারন: আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্বিয়্যুম লা তা’খুজুহু সিনাত্যু ওয়ালা নাউম। লাহু মা ফিছছামা ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্। মান যাল্লাযী ইয়াস ফায়ু ইন দাহু ইল্লা বি ইজনিহি ইয়া লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খল ফাহুম ওয়ালা ইউ হিতুনা বিশাই ইম্ মিন ইল্ মিহি ইল্লা বিমা সাআ ওয়াসিয়া কুরসিইউ হুস ছামা ওয়াতি ওয়াল আরদ্ ওয়ালা ইয়া উদুহু হিফজুহুমা ওয়াহুয়াল আলিয়্যূল আজীম।
আয়াতুল কুরসীর বাংলা অর্থ:
“আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই, তিনি জীবিত, সবকিছুর ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়। আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে, সবই তাঁর। কে আছ এমন, যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া? দৃষ্টির সামনে কিংবা পিছনে যা কিছু রয়েছে সে সবই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোন কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। তাঁর সিংহাসন সমস্ত আসমান ও যমীনকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর সেগুলোকে ধারণ করা তাঁর পক্ষে কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান।” [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ২৫৫]
৩। সুরা আল-ইমরানের -১৮ ও ১৯ এবং ২৬ ও ২৭ নম্বর আয়াত:
شَهِدَ اللّهُ أَنَّهُ لاَ إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ وَالْمَلاَئِكَةُ وَأُوْلُواْ الْعِلْمِ قَآئِمَاً بِالْقِسْطِ لاَ إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ
বাংলা উচ্চারণ: শাহিদাল্লাহু আন্নাহু লা ইলাহা ইল্লাহু আউয়াল মালা-ই-কাতু ওয়া ওলুল ইলমু ক-ইমাম বিলকুসতিলা ইলাহা ইল্লাহু ওয়াল আযীজুল হাকিম।
অর্থ: আল্লাহ সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, তাঁকে ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই। ফেরেশতাগণ এবং ন্যায়নিষ্ঠ জ্ঞানীগণও সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, তিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। তিনি পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়। [সুরা ইমরান: ১৮]
إِنَّ الدِّينَ عِندَ اللّهِ الإِسْلاَمُ وَمَا اخْتَلَفَ الَّذِينَ أُوْتُواْ الْكِتَابَ إِلاَّ مِن بَعْدِ مَا جَاءهُمُ الْعِلْمُ بَغْيًا بَيْنَهُمْ وَمَن يَكْفُرْ بِآيَاتِ اللّهِ فَإِنَّ اللّهِ سَرِيعُ الْحِسَابِ
বাংলা উচ্চারণ: ইন্নাত তাইনা ইন্দাল লাহী লী ইসলাম। ওমাখ তালাফাল লাযীনা উতুল কিতাবা ইল্লা মীমবাদী মা-জা আ-হুমুল ইলমু বাগ ইয়াম, বাগ ইয়াম বাইনাহুম ওমা ইয়াখফুরু বিআয়াতিল্লাহী ফাইন্নাল্লাহা ছারিউল হিছাব।
অর্থ: নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য দ্বীন একমাত্র ইসলাম। এবং যাদের প্রতি কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের নিকট প্রকৃত জ্ঞান আসার পরও ওরা মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে, শুধুমাত্র পরস্পর বিদ্বেষবশতঃ, যারা আল্লাহর নিদর্শনসমূহের প্রতি কুফরী করে তাদের জানা উচিত যে, নিশ্চিতরূপে আল্লাহ হিসাব গ্রহণে অত্যন্ত দ্রুত। [সুরা ইমরান: ১৯]
قُلِ اللَّهُمَّ مَالِكَ الْمُلْكِ تُؤْتِي الْمُلْكَ مَن تَشَاء وَتَنزِعُ الْمُلْكَ مِمَّن تَشَاء وَتُعِزُّ مَن تَشَاء وَتُذِلُّ مَن تَشَاء بِيَدِكَ الْخَيْرُ إِنَّكَ عَلَىَ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
বাংলা উচ্চারণ: কুলিল্লাহ হুম্মা মালিকাল মুলকি তুতিল মুলকা মীম মানতাসা, ওয়াতা হীজ্জু মানতাসা ওতা জীল্লু মানতাসা বিয়াদিকাল খয়ীইর ইন্নাকা আলা কুল্লি সাই-ইন কদির।
অর্থ: বলুন ইয়া আল্লাহ! তুমিই সার্বভৌম শক্তির অধিকারী। তুমি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান কর এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজ্য ছিনিয়ে নাও এবং যাকে ইচ্ছা সম্মান দান কর আর যাকে ইচ্ছা অপমানে পতিত কর। তোমারই হাতে রয়েছে যাবতীয় কল্যাণ। নিশ্চয়ই তুমি সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাশীল। [সুরা ইমরান: ২৬]
تُولِجُ اللَّيْلَ فِي الْنَّهَارِ وَتُولِجُ النَّهَارَ فِي اللَّيْلِ وَتُخْرِجُ الْحَيَّ مِنَ الْمَيِّتِ وَتُخْرِجُ الَمَيَّتَ مِنَ الْحَيِّ وَتَرْزُقُ مَن تَشَاء بِغَيْرِ حِسَابٍ
বাংলা উচ্চারণ: তুলিজুল লাইলা ফিন্নাহারী ওয়া তুলীজুন নাহারা ফীল্লাইল, ওয়া তুখরীজুন হাইয়্যা মিনাল মাইতী ওয়া তুখরীজুল মাইয়্যেতা মিনাল হাইয়্যে ওয়াতারজুখু মানতাসাও বিগাইরি হিছাব।
অর্থ: তুমি রাতকে দিনের ভেতরে প্রবেশ করাও এবং দিনকে রাতের ভেতরে প্রবেশ করিয়ে দাও। আর তুমিই জীবিতকে মৃতের ভেতর থেকে বের করে আন এবং মৃতকে জীবিতের ভেতর থেকে বের কর। আর তুমিই যাকে ইচ্ছা বেহিসাব রিযিক দান কর। [সুরা আল-ইমরান: ২৭]
No comments:
Post a Comment