بِسْمِ اللہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি
সূরার নাম : নাছর
শ্রেণী : মাক্কী সূরা (মদীনায় অবতীর্ণ)
অন্য নাম : তাওদী
নামের অর্থ : সাহায্য
সূরার ক্রম : ১১০
আয়াতের সংখ্যা : ৩
রুকুর সংখ্যা : ১
পারার ক্রম : ৩০ পারা
- إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ
ইযা জা - আনাসরুল্লাহি ওয়াল ফাতহু
যখন আল্লাহ্র সাহায্য ও (মক্কা) বিজয় আসছে
- وَرَأَيْتَ النَّاسَ يَدْخُلُونَ فِي دِينِ اللَّهِ أَفْوَاجًا
ওয়ারাআইতান্না সা ইয়াদ খুলুনা ফী-দীনিল্লাহি আফওয়াজা
এবং (হে নবী !) তুমি যদি দেখ যে লোকেরা দলে দলে আল্লাহর দ্বীন (ইসলাম ধর্ম) গ্রহণ করছে
- فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُ إِنَّهُ كَانَ تَوَّابًا
ফাসাব্বিহ বিহামদি, রাব্বিকা ওয়াছ তাগফিরহু, ইন্নাহু কানা তাওয়্যাবা
তখন
আপনি আপনার পালনকর্তার প্রশংসা সহ পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তাঁর কাছে
ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাকারী (সর্বাধিক তওবা কবুলকারী) ।
ফযিলত: মুসনাদে আহমদে বর্ণিত আছে, জনৈক ইহু্দী রসূলুল্লাহ্ (সাঃ)- এর উপর জাদু করেছিল। ফলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। জিবরাঈল আগমন করে সংবাদ দিলেন যে, জনৈক ইহু্দী জাদু করেছে এবং যে জিনিসে জাদু করা হয়েছে, তা অমুক কুপের মধ্যে আছে। রসুলুল্লাহ (সাঃ) লোক পাঠিয়ে সেই জিনিস কূপ থেকে উদ্ধার করে আনলেন। তাতে কয়েকটি গিরু ছিল। তিনি এই সূরা দুটি পড়ে ফুক দেওয়ায় গিরুগুলো সাথে সাথে খুলে য়ায এবং সে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে শয্যা ত্যাগ করেন। হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, রসুলুল্লাহ (সাঃ)- এর উপর জাদু করলে তার প্রভাবে তিনি মাঝে মাঝে দিশেহারা হয়ে পড়তেন এবং যে কাজটি করেননি, তাও করেছেন বলে অনুভব করতেন। একদিন তিনি হযরত আয়েশা (রাঃ)-কে বললেনঃ আমার রোগটা কি, আল্লাহ্ তা’আলা তা আমাকে বলে দিয়েছেন। (স্বপ্নে) দুব্যক্তি আমার কাছে আসল এবং একজন শিয়রের কাছে ও অন্যজন পায়ের কাছে বসে গেল। শিয়রের কাছে উপবিষ্ট ব্যক্তি অন্য জনকে বলল, তাঁর অসুখটা কি? অন্যজন বললঃ ইনি জাদুগ্রস্ত। প্রথম ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলঃ কে জাদু করেছে? উত্তর হল, ইহুদীদের মিত্র মুনাফিক লবীদ ইবনে আ’সাম জাদু করেছে। আবার প্রশ্ন হলঃ কি বস্তুতে জাদু করেছে? উত্তর হল, একটি চিরুনীতে। আবার প্রশ্ন হল, চিরুনীটি কোথায়? উত্তর হল, খেজুর ফলের আবরণীতে ‘বির যরোয়ান’ কূপে একটি পাথরের নিচে চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। অতঃপর রসূলুল্লাহ্ (সাঃ) সে কূপে গেলেন এবং বললেনঃ স্বপ্নে আমাকে এই কূপই দেখানো হয়েছে। অতঃপর চিরুনীটি সেখান থেকে বের করে আনলেন। মুসনাদে আহমদের রেওয়ায়েতে আছে, রসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর এই অসুখ ছয় মাস স্থায়ী হয়েছিল।
No comments:
Post a Comment