সুরা আল-কুরাইশের ফযিলত, আরবি ও বাংলা উচ্চারন অর্থসহ
সূরা কুরাইশ মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১০৬ তম সূরা। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ৪ টি।
ফযিলত:
তাফসিরে দুরারুন নজমে এসেছে, এ সুরাটি লিখে বৃষ্টির পানি দ্বারা ধৌত করে পান করলে কফ-কাশি দূর হয়।
-
যে ব্যক্তি স্বপ্নে দেখবে যে, সুরা যুখরূফ তেলাওয়াত করছে, তার অর্থ
দাঁড়াবে ঐ ব্যক্তি দুনিয়ার জীবনে সফল হবে আর পরকালে সে উচ্চ মর্যাদা লাভ
করবে।
সূরা কুরাইশ এর অর্থ এবং বিষয়ের দিক হতে তার পূর্ববর্তী সূরা আল ফীলের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। তাই কোন কোন মাসহাফে এই দুই সূরা একসঙ্গে লেখা আছে।
তবে জামিউল কোরআন হজরত ওসমান (রা.) তার খেলাফতকালীন সময়ে মুসলিম উম্মাহার ঐক্য ও সংহতি অটুট রাখার জন্যে কোরআনের সব মাসহাফ একত্রিত করে সাহাবায়ে-কেরামের ইজমার ওপর আল কোরআনকে নতুন কপিতে সংযোজিত করান। সেই কপিতে পবিত্র এই দুই সূরা দুটি আলাদা সূরা ও বিসমিল্লাহ সহ সন্নিবিষ্ট আছে।
কুরাইশদের প্রতি আল্লাহ তায়ালার নিয়ামত সীমাহীন। তা ছাড়া ও তারা যে শীত ও গ্রীষ্মকালীন সময়ে ব্যবসার উদ্দেশ্যে সফর করতো সে বিষয়টি আল্লাহ তায়ালা এই সূরায় তুলে ধরেছেন এবং আল্লাহ তায়ালার তাদের প্রতি বিশেষ অনুগ্রহ প্রকাশ করার কথা বলেছেন। সে সময় আরব কুরাইশগণ শীতকালে ইয়েমেন ও গ্রীষ্মকালে সিরিয়া, ফিলিস্তিনে সফর করে ব্যবসা করে লাভ করতো। আর তাদের মরুভূমিতে ক্ষুধায় খাদ্য ও জলের কোনো অভাব হয়নি।
হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, মক্কাবাসীরা খুব দারিদ্র ও কষ্টে দিনাতিপাত করত। অবশেষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের প্রপিতামহ হাশেম কোরাইশকে বিদেশে যেয়ে ব্যবসা করার জন্যে উৎসাহিত করেন।
সুরা আল-কুরাইশ এর আরবি ও বাংলা উচ্চারন অর্থসহ:
لِإِيلَٰفِ قُرَيْشٍ
No comments:
Post a Comment