Saturday, October 31, 2020

সুরা ফাতিহার ফযিলত, বৈশিষ্ট্য, আরবি ও বাংলা উচ্চারণ অর্থসহ

 

সুরা ফাতিহার ফযিলত, বৈশিষ্ট্য, আরবি ও বাংলা উচ্চারণ অর্থসহ

ফযিলত:

           আসলে এ সূরাটি হচ্ছে একটি দোয়া। যে কোন ব্যক্তি এ গ্রন্থটি পড়তে শুরু করলে আল্লাহ প্রথমে তাকে এ দোয়াটি শিখিয়ে দেন। গ্রন্থের শুরুতে এর স্থান দেয়ার অর্থই হচ্ছে এই যে, যদি যথার্থই এ গ্রন্থ থেকে তুমি লাভবান হতে চাও, তাহলে নিখিল বিশ্ব-জাহানের মালিক আল্লাহর কাছে দোয়া এবং সাহায্য প্রার্থনা করো।

          মানুষের মনে যে বস্তুটির আকাঙ্ক্ষা ও চাহিদা থাকে স্বভাবত মানুষ সেটিই চায় এবং সে জন্য দোয়া করে। আবার এমন অবস্থায় সে এই দোয়া করে যখন অনুভব করে যে, যে সত্তার কাছে সে দোয়া করছে তার আকাংখিত বস্তুটি তারই কাছে আছে। কাজেই কুরআনের শুরুতে এই দোয়ার শিক্ষা দিয়ে যেন মানুষকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, সত্য পথের সন্ধান লাভের জন্য এ গ্রন্থটি পড়, সত্য অনুসন্ধানের মানসিকতা নিয়ে এর পাতা ওলটাও এবং নিখিল বিশ্ব-জাহানের মালিক ও প্রভু আল্লাহ হচ্ছেন জ্ঞানের একমাত্র উৎস--- একথা জেনে নিয়ে একমাত্র তার কাছেই পথনির্দেশনার আর্জি পেশ করেই এ গ্রন্থটি পাঠের সূচনা কর।

         এ বিষয়টি অনুধাবন করার পর একথা সুস্পষ্ট হয়ে যায় যে, কুরআন ও সূরা ফাতিহার মধ্যকার আসল সম্পর্ক কোন বই ও তার ভূমিকার সম্পর্কের পর্যায়ভুক্ত নয়। বরং এ মধ্যকার আসল সম্পর্কটি দোয়া ও দোয়ার জবাবের পর্যায়ভুক্ত। সূরা ফাতিহা বান্দার পক্ষ থেকে একটি দোয়া। আর কুরআন তার জবাব আল্লাহর পক্ষ থেকে। বান্দা দোয়া করে, হে মহান প্রভু! আমাকে পথ দেখাও। জবাবে মহান প্রভু এই বলে সমগ্র কুরআন তার সামনে রেখে দেনঃ এই নাও সেই হিদায়াত ও পথের দিশা যে জন্য তুমি আমার কাছে আবেদন জানিয়েছ। 

বৈশিষ্ট:

         এই সূরাটি কোরআনের একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ সূরা। প্রথমতঃ এ সূরা দ্বারাই পবিত্র কোরাআন আরম্ভ হয়েছে এবং এ সূরা দিয়েই সর্বশ্রেষ্ঠ এবাদত স্বলাত আরম্ভ হয়। যে সকল সাহাবী সূরা আল-ফাতিহা সর্বপ্রথম নাযিল হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন, তাদের সে বক্তব্যের অর্থ বোধহয় এই যে, পরিপূর্ণ সূরারূপে এর আগে আর কোন সূরা নাযিল হয়নি। এ জন্যই এ সূরার নাম 'ফাতিহাতুল-কিতাব' বা কোরআনের উপক্রমণিকা রাখা হয়েছে।

          'সূরা আল্-ফাতিহা' এদিক দিয়ে সমগ্র কোরআনের সার-সংক্ষেপ। এ সূরায় সমগ্র কোরআনের সারমর্ম সংক্ষিপ্ত আকারে বলে দেয়া হয়েছে। কোরআনের অবশিষ্ট সূরাগুলো প্রকারান্তরে সূরা ফাতিহারই বিস্তৃত ব্যাখ্যা। তাই এ সূরাকে সহীহ হাদীসে 'উম্মুল কিতাব', 'উম্মুল কুরআন', 'কোরানে আযীম' বলেও অভিহিত করা হয়েছে। হযরত রসূলে কারীম এরশাদ করেছেন যে -

"যার হাতে আমার জীবন-মরণ, আমি তাঁর শপথ করে বলছি, সূরা আল-ফাতিহার দৃষ্টান্ত তাওরাত, যাবুর, ইনযীল প্রভৃতি অন্য আসমানী কিতাব তো নেই-ই, এমনকি পবিত্র কোরআন এর দ্বিতীয় নেই।"

     ইমাম তিরমিযী আবু হুরায়রা (রা:)থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রসূলে কারীম আরো বলেছেন যে -

"সূরায়ে ফাতিহা প্রত্যেক রোগের ঔষধবিশেষ।"

 সুরা ফাতিহার আরবি ও বাংলা উচ্চারণ অর্থসহ: 

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
বাংলা উচ্চারণ : বিসমিল্লাহির রাহমা নিররাহিম
বাংলা অনুবাদ : পরম দয়ালু, সবসময় দয়ালু আল্লাহ্‌র নামে [শুরু করছি]
 
الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
বাংলা উচ্চারণ : আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন।
বাংলা অনুবাদ : সকল প্রশংসা,মহিমা এবং ধন্যবাদ আল্লাহর; তিনি সকল চেতন অস্তিত্বের সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী,যত্নশীল প্রভু।
 
الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
বাংলা উচ্চারণ : আররাহমা-নির রাহি-ম 
বাংলা অনুবাদ : পরম দয়ালু, সবসময় দয়ালু
 
مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ
বাংলা উচ্চারণ : মালিকি ইয়াওমিদ্দিন 
বাংলা অনুবাদ : বিচার দিনের একমাত্র অধিপতি।
 
إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ
বাংলা উচ্চারণ : ইয়্যাকা না’বুদু ওয়া ইয়্যাকা নাসতাইন, 
বাংলা অনুবাদ : আমরা একমাত্র আপনার, শুধুই আপনার দাসত্ব করি, এবং একমাত্র আপনার কাছে, শুধুই আপনার কাছে অনেক চেষ্টার পরে সাহায্য চাই।
 
اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ
বাংলা উচ্চারণ : ইহদিনাস সিরাতা’ল মুসতাকিম
বাংলা অনুবাদ : আমাদেরকে একমাত্র সঠিক, প্রতিষ্ঠিত, ঊর্ধ্বগামী, ক্রমাগত কঠিনতর পথের জন্য বিস্তারিত পথনির্দেশ দিন।
 
صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ
বাংলা উচ্চারণ : সিরাতা’ল্লাযিনা আনআ’মতা আ’লাইহিম গা’ইরিল মাগদুবি আ’লাইহিম ওয়ালাদ্দল্লিন।
বাংলা অনুবাদ : তাদের পথ যাদেরকে আপনি স্বাচ্ছন্দ্য, অনুগ্রহ, কল্যাণ দিয়েছেন, যারা নিজের এবং অন্যের ক্রোধের শিকার হয় না এবং ভুল পথে যায় না।

Friday, October 30, 2020

সুরা ইখলাসের বরকতময় ফযিলত

 

সুরা ইখলাসের বরকতময় ফযিলত

             সুরা ইখলাস কোরআন মাজিদের ১১২তম সুরা। সুরাটি সুরা নাসের পরে হিজরতের আগে মক্কার প্রথম যুুগে অবতীর্ণ হয়। এই সুরার আয়াত সংখ্যা ৪, রুকু সংখ্যা ১। ইখলাস অর্থ গভীর অনুরক্তি, একনিষ্ঠতা, নিরেট বিশ্বাস, খাঁটি আনুগত্য, ভক্তিপূর্ণ উপাসনা। শিরক থেকে মুক্ত হয়ে তাওহিদ বা এক আল্লাহর ওপর খাঁটি ও নিরেট বিশ্বাসী হওয়াকে ইখলাস বলা হয়। এ সুরার মর্মার্থের ভিত্তিতে নামকরণ করা হয়েছে সুরা ইখলাস। যে ব্যক্তি এ সুরাটি পাঠ করবে ও এর মর্মার্থের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করবে, সে নিশ্চিত শিরক থেকে মুক্তি লাভ করে নিরেট তাওহিদবাদী হয়ে যাবে এবং আল্লাহর মুখলিস বান্দায় পরিণত হবে।

             এ সুরার বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, আল্লাহ তাআলা নিজের পরিচয় তাঁর হাবিবকে দিতে বলেছেন। বন্ধুর পরিচয় বন্ধু দেওয়ার মাধ্যমে বন্ধুর শ্রেষ্ঠত্বও প্রমাণিত হয়েছে। এ সুরার শানে নুজুল প্রসঙ্গে হজরত আনাস (রা.) বর্ণনা করেন, খাইবারের কয়েকজন ইহুদি একদা মহানবী (সা.)-এর দরবারে এসে বলে, হে আবুল কাসেম! আল্লাহ তাআলা ফেরেশতাদের নূর থেকে, আদমকে মাটি থেকে এবং পৃথিবীকে পানির ফেনা থেকে সৃষ্টি করেছেন। এখন আপনার রব সম্পর্কে আমাদের জানান, তিনি কোন বস্তুর থেকে সৃষ্ট? রাসুলুল্লাহ (সা.) কোনো জবাব দেননি। অতঃপর হজরত জিবরাঈল (আ.) সুরা ইখলাস নিয়ে আসেন।

              হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, একদা নাজরানের সাতজন খ্রিস্টান পাদ্রি মহানবী (সা.)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলে, আমাদের বলুন, আপনার রব কেমন? তিনি কিসের তৈরি? মহানবী (সা.) বলেন, আমার রব কোনো জিনিসের তৈরি নয়। তিনি সব বস্তু থেকে আলাদা। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা উল্লিখিত সুরা নাজিল করেন।

              বিষয়বস্তু : সুরা ইখলাসের চারটি আয়াতে চারটি বিষয়ের আলোচনা করা হয়েছে। প্রথম আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহ একক ও অনন্য। দ্বিতীয় আয়াতে বলা হয়েছে, তিনি অমুখাপেক্ষী। তৃতীয় আয়াতে বলা হয়েছে, জন্মের সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই এবং চতুর্থ আয়াতে বলা হয়েছে, তিনি অতুলনীয়। চারটি আয়াতের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো, তাওহিদ বা আল্লাহর একত্ববাদ।

সুরা ইখলাসের বৈশিষ্ট্য:

             সুরা ইখলাস এমন একটি সুরা যার মধ্যে আল্লাহ তাআলার একত্ববাদের বিষয়টি সুন্দরভাবে বর্ণনা করা হয়েছে, যা অন্য কোনো সুরায় বর্ণনা করা হয়নি। মক্কার কাফিরদের কাছে স্রষ্টা এক হওয়া আশ্চর্যের বিষয় ছিল এবং তাদের জানার প্রবল আকাঙ্ক্ষা ছিল স্রষ্টা কেমন এবং কিসের তৈরি। আল্লাহ তাআলা জোরালো ভাষায় এসব প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন এ সুরায়। এ সুরার অনন্য বৈশিষ্ট্যগুলো হলো—

কোরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমতুল্য :

             আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি অন্য ব্যক্তিকে রাতে বারবার সুরা আল-ইখলাস পড়তে শুনেছেন। অতঃপর সকালে মহানবী (সা.)-কে এ বিষয়টি অবহিত করা হলো। মহানবী (সা.) তখন বলেন, ওই সত্তার শপথ, যার কুদরতের হাতে আমার জীবন, অবশ্যই এ সুরা কোরআন মাজিদের এক-তৃতীয়াংশের সমান। (সহিহ বুখারি : ৫০১৩, আবু দাউদ : ১৪৬১, নাসায়ি : ২/১৭১, মুআত্তা মালেক : ১/২০৮)

             মহানবী (সা.) একদা সাহাবিদের বলেন, তোমারা কি এক রাতে কোরআন মাজিদের এক-তৃতীয়াংশ পড়তে পারবে? সাহাবিরা এ প্রস্তাবকে খুবই কঠিন মনে করলেন। ফলে তারা বলল, আমাদের মধ্যে এ কাজ কে করতে পারবে? মহানবী (সা.) তখন বললেন, সুরা ইখলাস কোরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫০১৫, নাসায়ি, হাদিস : ৯৯৫)

সুরা ইখলাসকে কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ বলার কারণ :

               কোরআন মাজিদ তিন ভাগে বিভক্ত। এক ভাগ আহকাম বা বিধি-বিধানসংক্রান্ত। আরেক ভাগ জান্নাতের সুসংবাদ ও জাহান্নামের দুঃসংবাদসংক্রান্ত এবং অন্য ভাগ আল্লাহর নাম ও গুণাবলিসংক্রান্ত। শেষোক্ত ভাগটি সুরা ইখলাসে একত্রিত হওয়ার কারণে একে কোরআন মাজিদের এক-তৃতীয়াংশ বলা হয়েছে। হজরত আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে মহানবী (সা.) বলেছেন, আল্লাহ কোরআনকে তিন ভাগে ভাগ করেছেন। আর এ সুরাটি (সুরা ইখলাস)-কে একটি ভাগে পরিণত করেছেন। (মুসলিম, হাদিস : ৮১২, তিরমিজি, হাদিস : ২৯০০)

সুরা ইখলাস তিনবার পাঠ করলে কি এক খতম কোরআন পাঠের সওয়াব পাওয়া যাবে?

              এ সুরাটি তিনবার পাঠ করলেই পূর্ণ কোরআন মাজিদ পাঠ হয়ে যাবে বা এক খতম কোরআনের সওয়াবপ্রাপ্ত হবে—এরূপ কথা হাদিসের কোথাও বলা হয়নি। বরং বলা হয়েছে যে সুরা ইলখাস কোরআন মাজিদের এক-তৃতীয়াংশের সমতুল্য। এর মর্মার্থ হলো, এ সুরাটি যে ব্যক্তি বুঝে পাঠ করবে তার অন্তরে আল্লাহর নাম ও গুণাবলি গেঁথে যাবে, ফলে সে শিরকি চিন্তাধারা থেকে পরিচ্ছন্ন থাকবে। অর্থাৎ সুরা ইখলাস পাঠের ফলে কোরআন মাজিদের এক-তৃতীয়াংশের আমল তার মধ্যে পাওয়া গেল। এর অর্থ এই নয় যে একবার সুরা পাঠ করলে এক-তৃতীয়াংশ পাঠ করা হলো এবং তিনবার পাঠ করলে এক খতম কোরআন পাঠ করা হলো এবং এক খতমের সওয়াবপ্রাপ্ত হবে।

সুরা ইখলাসকে ভালোবাসলে আল্লাহও ভালোবাসবেন

             মহানবী (সা.) একজন সাহাবির নেতৃত্বে একদল সৈনিককে যুদ্ধে প্রেরণ করেন। তিনি যুদ্ধের দীর্ঘ সময়ে শুধু সুরা ইখলাস দ্বারা নামাজ পড়িয়েছেন। সৈন্যরা যুদ্ধ থেকে ফিরে এসে মহানবী (সা.)-কে তা অবহিত করেন। মহানবী (সা.) তাদের বলেন, তোমরা তাকে জিজ্ঞেস করো কেন সে এরূপ করেছে। সেনাপতি বললেন, এ সুরায় আল্লাহর গুণাবলি বর্ণিত হয়েছে বিধায় আমি এ সুরাকে ভালোবাসি।  মহানবী (সা.) সাহাবিদের বলেন, তোমরা তাকে গিয়ে বলো, আল্লাহও তাকে ভালোবাসেন। (সহিহ বুখারি হাদিস নং ৭৩৭৫, মুসলিম হাদিস নং ৮১৩, নাসায়ি ২/১৭০)

             ১. জান্নাত লাভ : জনৈক সাহাবি মহানবী (সা.)-এর কাছে এসে বলেন, হে আল্লাহর রাসুল (সা.)! আমি সুরা ইখলাসকে ভালোবাসি। রাসুলুল্লাহ (সা.) তখন বলেন, এ ভালোবাসা তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭৭৪, তিরমিজি, হাদিস : ২৯০১)

              ২. গুনাহ মাফ : মহানবী (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতিদিন ২০০ বার সুরা ইখলাস পড়বে, তার ৫০ বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে, তবে ঋণ থাকলে তা মাফ হবে না। (তিরমিজি, হাদিস : ২৮৯৮)

               ৩. দারিদ্র্য দূর : সাহল ইবন সাদ সায়েদি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর কাছে দারিদ্র্যের অভিযোগ করল, মহানবী (সা.) তাকে বললেন, যখন তুমি ঘরে যাও তখন সালাম দেবে এবং একবার সুরা ইখলাস পড়বে। এ আমল করার ফলে কিছু দিনের মধ্যে তার দারিদ্র্য দূরীভূত হয়ে যায়। (কুরতুবি : ২০/১৮৫)

 

সুরা ইখলাসের ফযিলত অর্থসহ আরবি ও বাংলা উচ্চারণ

 সুরা ইখলাসের ফযিলত:

  • কোরআন শরীফ এর এক তৃতীয়াংশের সমান আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি অন্য ব্যক্তিকে রাতে বারবার সুরা আল-ইখলাস পড়তে শুনেছেন। অতঃপর সকালে মহানবী (সা.)-কে এ বিষয়টি অবহিত করা হলো। মহানবী (সা.) তখন বলেন, ওই সত্তার শপথ, যার কুদরতের হাতে আমার জীবন, অবশ্যই এ সুরা কোরআন মাজিদের এক-তৃতীয়াংশের সমান। (সহিহ বুখারি : ৫০১৩, আবু দাউদ : ১৪৬১, নাসায়ি : ২/১৭১, মুআত্তা মালেক : ১/২০৮)
  • মহানবী (সা.) একদা সাহাবিদের বলেন, তোমারা কি এক রাতে কোরআন মাজিদের এক-তৃতীয়াংশ পড়তে পারবে? সাহাবিরা এ প্রস্তাবকে খুবই কঠিন মনে করলেন। ফলে তারা বলল, আমাদের মধ্যে এ কাজ কে করতে পারবে? মহানবী (সা.) তখন বললেন, সুরা ইখলাস কোরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫০১৫, নাসায়ি, হাদিস : ৯৯৫)

কোরআন মাজিদ তিন ভাগে বিভক্ত। এক ভাগ আহকাম বা বিধি-বিধানসংক্রান্ত। আরেক ভাগ জান্নাতের সুসংবাদ ও জাহান্নামের দুঃসংবাদসংক্রান্ত এবং অন্য ভাগ আল্লাহর নাম ও গুণাবলিসংক্রান্ত। শেষোক্ত ভাগটি সুরা ইখলাসে একত্রিত হওয়ার কারণে একে কোরআন মাজিদের এক-তৃতীয়াংশ বলা হয়েছে। হজরত আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে মহানবী (সা.) বলেছেন, আল্লাহ কোরআনকে তিন ভাগে ভাগ করেছেন। আর এ সুরাটি (সুরা ইখলাস)-কে একটি ভাগে পরিণত করেছেন। (মুসলিম, হাদিস : ৮১২, তিরমিজি, হাদিস : ২৯০০)

           সুরা ইখলাস তিনবার পাঠ করলে এক খতম কোরআন পাঠের সওয়াব পাওয়া যায়।

         এ সুরাটি তিনবার পাঠ করলেই পূর্ণ কোরআন মাজিদ পাঠ হয়ে যাবে বা এক খতম কোরআনের সওয়াবপ্রাপ্ত হবে—এরূপ কথা হাদিসের কোথাও বলা হয়নি। বরং বলা হয়েছে যে সুরা ইলখাস কোরআন মাজিদের এক-তৃতীয়াংশের সমতুল্য। এর মর্মার্থ হলো, এ সুরাটি যে ব্যক্তি বুঝে পাঠ করবে তার অন্তরে আল্লাহর নাম ও গুণাবলি গেঁথে যাবে, ফলে সে শিরকি চিন্তাধারা থেকে পরিচ্ছন্ন থাকবে। অর্থাৎ সুরা ইখলাস পাঠের ফলে কোরআন মাজিদের এক-তৃতীয়াংশের আমল তার মধ্যে পাওয়া গেল। এর অর্থ এই নয় যে একবার সুরা পাঠ করলে এক-তৃতীয়াংশ পাঠ করা হলো এবং তিনবার পাঠ করলে এক খতম কোরআন পাঠ করা হলো এবং এক খতমের সওয়াবপ্রাপ্ত হবে।

          সুরা ইখলাসকে ভালোবাসলে আল্লাহও আপনাকে ভালোবাসবেন

         মহানবী (সা.) একজন সাহাবির নেতৃত্বে একদল সৈনিককে যুদ্ধে প্রেরণ করেন। তিনি যুদ্ধের দীর্ঘ সময়ে শুধু সুরা ইখলাস দ্বারা নামাজ পড়িয়েছেন। সৈন্যরা যুদ্ধ থেকে ফিরে এসে মহানবী (সা.)-কে তা অবহিত করেন। মহানবী (সা.) তাদের বলেন, তোমরা তাকে জিজ্ঞেস করো কেন সে এরূপ করেছে। সেনাপতি বললেন, এ সুরায় আল্লাহর গুণাবলি বর্ণিত হয়েছে বিধায় আমি এ সুরাকে ভালোবাসি।  মহানবী (সা.) সাহাবিদের বলেন, তোমরা তাকে গিয়ে বলো, আল্লাহও তাকে ভালোবাসেন। (সহিহ বুখারি হাদিস নং ৭৩৭৫, মুসলিম হাদিস নং ৮১৩, নাসায়ি ২/১৭০)

            ১. জান্নাত লাভ : জনৈক সাহাবি মহানবী (সা.)-এর কাছে এসে বলেন, হে আল্লাহর রাসুল (সা.)! আমি সুরা ইখলাসকে ভালোবাসি। রাসুলুল্লাহ (সা.) তখন বলেন, এ ভালোবাসা তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭৭৪, তিরমিজি, হাদিস : ২৯০১)

             ২. গুনাহ মাফ : মহানবী (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতিদিন ২০০ বার সুরা ইখলাস পড়বে, তার ৫০ বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে, তবে ঋণ থাকলে তা মাফ হবে না। (তিরমিজি, হাদিস : ২৮৯৮)

             ৩. দারিদ্র্য দূর : সাহল ইবন সাদ সায়েদি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর কাছে দারিদ্র্যের অভিযোগ করল, মহানবী (সা.) তাকে বললেন, যখন তুমি ঘরে যাও তখন সালাম দেবে এবং একবার সুরা ইখলাস পড়বে। এ আমল করার ফলে কিছু দিনের মধ্যে তার দারিদ্র্য দূরীভূত হয়ে যায়। (কুরতুবি : ২০/১৮৫)

  • আবু দাউদ, তিরমিযী ও নাসায়ীর এক দীর্ঘ রেওয়ায়েতে রসুলুল্লাহ বলেনঃ যে ব্যক্তি সকাল-বিকাল সূরা ইখলাস, ফালাক্ব ও নাস পাঠ করে তা তাকে বালা-মসীবত থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যে যথেষ্ট হয়। - (ইবনে-কাসীর)
  • ওকবা ইবনে আমের -এর রেওয়ায়েতে রসুলুল্লাহ বলেনঃ আমি তোমাদেরকে এমন তিনটি সূরা বলছি, যা তওরাত, ইঞ্জীল, যবুর ও কোরআনসহ সব কিতাবেই রয়েছে। রাত্রিতে তোমরা ততক্ষণ নিদ্রা যেও না, যতক্ষণ সূরা এখলাস, ফালাক ও নাস না পাঠ কর। ওকবা বলেনঃ সেদিন থেকে আমি কখনও এই আমল ছাড়িনি। - (ইবনে কাসীর)
 আরবি ও বাংলা উচ্চারণ অর্থসহ 
بِسْمِ اللہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ
 বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে (শুরু করছি)
قُلْ هُوَ اللَّـهُ أَحَدٌ
কুল্ হুওয়াল্লা-হু আহাদ্
বলুন, তিনি আল্লাহ, এক
اللَّـهُ الصَّمَدُ
আল্লা-হুচ্ছমাদ্
আল্লাহ অমুখাপেক্ষী
لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ
লাম্ ইয়ালিদ্ অলাম্ ইয়ূলাদ্
তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি
وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ
‌অলাম্ ইয়া কুল্লাহূ কুফুওয়ান্ আহাদ্ এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।

 ইনশাআল্লা, এখন থেকে আমরা কেউই এই আমলটি বাদ দিব না। সবসময় আমল করার চেষ্টা করবো।

Sunday, October 25, 2020

কবরের আযাব থেকে মাফের দোয়া

 

 

কবরের আযাব থেকে মাফের দোয়া 

          রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও কবরের আজাব হতে আশ্রয় লাভের জন্য উম্মতকে তাগিদ দিয়েছেন। যা তুলে ধরা হলো- উৎস : হজরত বারা বিন আজিব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে জনৈক আনসারি সাহাবির জানাযায় শরীক হওয়ার জন্যে বের হলাম। তখনও কবরের খনন কাজ শেষ হয়নি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিবলামুখী হয়ে বসে পড়লেন। আমরাও তাঁর চারপাশে বসে গেলাম। তাঁর হাতে ছিল একটি কাঠি। তা দিয়ে তিনি মাটিতে খুঁচাতে ছিলেন এবং একবার আকাশের দিকে তাকাচ্ছিলেন আর একবার জমিনের দিকে মাথা অবনত করছিলেন। তিনবার তিনি দৃষ্টি উঁচু-নিচু করলেন। অতঃপর বললেন, ‘তোমরা আল্লাহর কাছে কবরের আজাব থেকে আশ্রয় চাও। কথাটি তিনি দু’বার অথবা তিনবার বললেন।

        তারপর তিনি এ দোয়াটি করলেন-أَللَّهُمَّ إِنِّى أَعُوْذُبِكَ مِنْ عَذاَبِ الْقَبْرِ

       উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নি আউ-জুবিকা মিন আ’জা-বিল ক্ববরি। অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে কবরের আযাব থেকে আশ্রয় চাই।

      পরিশেষে: আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে সব সময় উঠায় বসায়, নামাজ-ইবাদাত-বন্দেগিতে উক্ত দোয়া পাঠের মাধ্যমে মৃত্যুর স্মরণ এবং কবরের আজ থেকে মুক্তি লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

কবরের আযাব থেকে মাফের দোয়া

 

 


           কবরের আজাব থেকে মুক্তি লাভে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর উম্মতকে দোয়া শিখিয়েছেন। আবার নামাজের শেষ বৈঠকে দোয়া-এ মাসুরা হিসেবেও এ দোয়াটি পড়া হয়। যা তুলে ধরা হলো-

         উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউ’জুবিকা মিন আ’জাবিল ক্বাবরি; ওয়া মিন আ’জাবি জাহান্নাম; ওয়া মিন ফিতনাতিল মাহ’ইয়া ওয়াল্ মামাতি; ওয়া মিং সাররি ফিতনাতিল্ মাসীহিদ্-দাজ্জাল।

       অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি আমাকে কাবরের আজাব থেকে রক্ষা করো,আমাকে জাহান্নামের আজাব, এবং দুনিয়ার ফিৎনা ও মৃত্যুর ফেতনা এবং দাজ্জালের ফিৎনা থেকে রক্ষা করো। (বুখারি ও মুসলিম)

       আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়ে কবরের আজাব থেকে মুক্তি লাভের তাওফিক দান করুন। (আমিন)

 

Friday, October 23, 2020

৫ কালিমা আরবি ও বাংলা উচ্চারণ অর্থসহ

 

৫ কালিমা আরবি ও বাংলা উচ্চারণ অর্থসহ 

          কালেমা ইসলামের মৌলিক বিশ্বাস সম্বলিত কয়েকটি আরবি পংক্তির নাম। এর মাধ্যমেই ইসলামের প্রথম স্তম্ভ পূর্ণতা পায়। ইসলামে কালমিার গুরুত্ব ও মর্যাদা অনেক । কালিমার মূল অবকাঠামো হচ্ছে বিশ্বাস। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন : “যে ব্যক্তি এমতাবস্থায় মারা যায় যে সে জানে আল্লাহ ছাড়া কোন সঠিক উপাস্য নেই সে জান্নাতে যাবে।  

            ১. কালিমা তাইয়্যেবা আরবি : لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ 

বাংলা উচ্চারণ : লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ। 

বাংলা অর্থ : আল্লাহ এক আর কোন মাবুদ নেই। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর প্রেরিত রাসূল। 

          ২. কালিমা শাহাদৎ আরবি : اشْهَدُ انْ لّآ اِلهَ اِلَّا اللّهُ وَحْدَه لَا شَرِيْكَ لَه، وَ اَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدً اعَبْدُهوَرَسُولُه  

বাংলা উচ্চারণ : আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা শারীকালাহু, ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু।  

বাংলা অর্থ : আমি সাক্ষ্য প্রদান করছি যে, আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কোন মাবুদ নেই। তিনি এক। তাঁহার কোন অংশীদার নেই, এবং আমি আরও সাক্ষ্য প্রদান করছি যে, নিশ্চয়ই হযরত মুহাম্মদ (সঃ) আল্লাহ্র প্রেরিত বান্দা ও রাসূল। 

         ৩. কালিমা তামজীদ আরবি : سُبْحَان لِلّه وَ الْحَمْدُ لِلّهِ وَ لآ اِلهَ اِلّا اللّهُ، وَ اللّهُ اَكْبَرُ وَلا حَوْلَ وَلاَ قُوَّة ِلَّا بِاللّهِ الْعَلِىّ الْعَظِيْم  

বাংলা উচ্চারণ : সুব্হানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আক্বার ওয়ালা হাওলা ক্বুয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল্ আলিইল্ আযীম্।  

বাংলা অর্থ : মহিমা ও সকল প্রসংশা আল্লাহ্র জন্য, আল্লাহ ব্যতীত আর কোন উপাস্য নেই। আল্লাহ মহান, সর্বশক্তিমান ও সর্বক্ষমতাবান। আল্লাহ ব্যতীত আর কেউ নয়। তিনিই মহান। 

           ৪. কালিমা তাওহীদ আরবি : لا الهَ اِلَّا اللّهُ وَحْدَهُ لا شَرِيْكَ لَهْ، لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ يُحْى وَ يُمِيْتُ وَ هُوَحَىُّ لَّا يَمُوْتُ اَبَدًا اَبَدًا ط ذُو الْجَلَالِ وَ الْاِكْرَامِ ط بِيَدِهِ الْخَيْرُ ط وَهُوَ عَلى كُلِّ شَئ ٍ قَدِيْرٌ ط  

বাংলা উচ্চারণ : লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্ দাহু লা-সারিকা লা-হু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ইউহা ই ওয়া উ মিতু বি ইয়া সি হিল খাইরু ওয়া-হু-ওয়া আ-লা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর।  

বাংলা অর্থ : আল্লাহ এক আর কোন মাবুদ নেই তিনি এক তার কোন অংশীদার নেই। সমস্ত সৃষ্টি জগৎ এবং সকল প্রশংসা তাঁরই। তিনি জীবন হান করেন আবার তিনিই মৃত্যুর কারণ তার হাতেই সব ভাল কিছু এবং তিনিই সৃষ্টির সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।  

            ৫. কালিমায়ে রদ্দে কুফর আরবি : اللهم انی اعوذبک من ان یشرک بک شیئا واستغفرک ما اعلم به ومالا اعلم به تبت عنه وتبرأت من الکفر والشرک والمعاصی کلها واسلمت وامنت واقول ان لا اله الا الله محمد رسول الله صلی الله علیه وسلم.  

বাংলা উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাহ ইন্নী আউযুবিকা মিন্ আন্ উশ্রিকা বিকা শাইআওঁ ওয়া আনা আ’লামু বিহী, ওয়া আস্তাগ্ফিরুকা লিমা আ’লামু বিহী, ওয়ামা লা-আ’লামু বিহী, তুব্তু আন্হু ওয়া তাবাররা’তু মিনাল কুফরি ওয়াশ্ শিরকি ওয়াল মায়াছী কুল্লিহা, ওয়া আসলামতু ওয়া আমান্তু ওয়া আক্বুলু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহি।

 বাংলা অর্থ : হে আল্লাহ্! আমি তমার নিকট আকাঙ্ক্ষা করছি যে আমি যেন কাউকে তমার সাথে শরিক না করি। আমি আমার জ্ঞাত ও অজ্ঞাত পাপ হতে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তা হতে তোবা করছি। কুফরী, শিরক ও অন্যান্য সব পাপ হতে দূরে থাকছি। এবং স্বীকার করছি যে, “আল্লাহ এক আর কোন মাবুদ নেই। হযরত মুহাম্মদ (সঃ) আল্লাহর প্রেরিত রাসূল।” 

            ৬.ঈমানে মুজমাল: ইমানে মুজমাল নামে প্রচলিত বাক্যটির অর্থ সুন্দর ও সঠিক। তবে এরূপ কোনো বাক্য কোনোভাবে কোনো হাদীসে উল্লেখ করা হয় নি।

          ৭.ঈমানে মুফাস্সাল: ঈমানের পরিচয় দিয়ে রাসূলুল্লাহ () বলেন:

   أن تُؤْمِنَ بِاللهِ وَمَلائِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَِالْيَوْم الآخِر وَتُؤْمِنَ بالْقَدْرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ.

 বাংলা অর্থ: ‘তুমি ঈমান আনবে আল্লাহর উপরে, তাঁর ফিরিশতাগণের উপরে, তাঁর কেতাবগুলোর উপরে, তাঁর রাসূলগণের উপরে, শেষ দিবসের (আখেরাতের) উপরে, এবং তুমি ঈমান আনবে তাকদীরের উপরে: তার ভাল এবং তার মন্দের উপরে।’’[10]

ঈমানের এ ছয়টি রুকন বা স্তম্ভের কথা কুরআন ও হাদীসে বারংবার উল্লেখ করা হয়েছে। লক্ষ্যণীয় যে, ‘ঈমানে মুফাস্সালের মধ্যে আখিরাতের বিশ্বাসকে পৃথক দুটি বাক্যাংশে প্রকাশ করা হয়েছে (ইয়াওমিল আখির) ও (বা’সি বা’দাল মাউত): শেষ দিবস ও মৃত্যুর পরে উত্থান। উভয় বিষয় একই।

Sunday, October 18, 2020

সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের ফযিলত, অর্থসহ আরবি ও বাংলা উচ্চারণ ও পড়ার নিয়ম

 

সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের ফযিলত, অর্থসহ আরবি ও বাংলা উচ্চারণ ও পড়ার নিয়ম

 

        ফযিলত: হাদিসে আছে, “যে ব্যক্তি সকালে তিনবার ‘আউ-যুবিল্লা-হিচ্ছামি-য়িলয়ালী-মিমিনাশ্শইত নিররাজী-ম’ পাঠ করার পর সূরা হাশরে শেষের তিন আয়াত পাঠ করবে, আল্লাহ তায়ালা তার জন্য সত্তর হাজার রহমতের ফেরেশতা নিযুক্ত করে দিবেন। তারা সন্ধ্যা পর্যন্ত রহমতের জন্য দোয়া করবে। সেদিন সে মারা গেলে শহিদের মৃত্যু হাসিল হবে । যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় এভাবে পাঠ করবে, সে-ও সকাল পর্যন্ত এই মর্তবা লাভ করবে”। (সুবহানআল্লাহ)
 
            আরবি উচ্চারণ:   .هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ هُوَ الرَّحْمَنُ الرَّحِيمُ .هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْمَلِكُ الْقُدُّوسُ السَّلَامُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَيْمِنُ الْعَزِيزُ الْجَبَّارُ الْمُتَكَبِّرُسُبْحَانَ اللَّهِ عَمَّا يُشْرِكُونَ . هُوَ اللَّهُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ لَهُ الْأَسْمَاء الْحُسْنَى يُسَبِّحُ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ

       বাংলা উচ্চারণ: হু আল্লা হুল্লাজী লা(আ) ইলাহা ইল্লা হু। আলিমুল গাইবী ওয়াশ শাহাদাতী হুয়ার রাহমানুর রাহীম। হু আল্লা হুল্লাজী লা(আ) ইলাহা ইল্লা হু।আল মালিকুল কুদ্দুসুস সালামুল ম্যু মিনুল মুহাইমিনুল আজিজুল জাব্বারুল মুতাকাব্বির। ছুব হানাল্লাহী আম্মা ইউশরিকুন। হু আল্লাহুল খালেকুল বারিয়্যুল মুছাওরেলাহুল আছমা(আ)উল হুছনা।ইউ ছাব্বিহু লাহু মা ফিছ ছামা ওয়াতি ওয়াল আরদ্ ওয়া হুয়াল আজীজুল হাকীম।

 
           অর্থ: তিনিই আল্লাহ তায়াআলা। আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্যকে জানেন তিনি পরম দয়ালু, অসীম দাতা। তিনিই আল্লাহ। আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তিনিই একমাত্র মালিক, পবিত্র, শান্তি ও নিরাপত্তাদাতা, আশ্রয়দাতা, পরাক্রান্ত, প্রতাপান্বিত, মাহাত্নশীল। তারা যাকে অংশীদার করে আল্লাহ তায়াআলা তা থেকে পবিত্র। তিনিই আল্লাহ তায়াআলা, স্রষ্টা, উদ্ভাবক, রূপদাতা, উত্তম নাম সমূহ তাঁরই। নভোমন্ডলে ও ভূমন্ডলে যা কিছু আছে, সবই তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করে। তিনি পরাক্রান্ত প্রজ্ঞাময়।
 
             নিয়ম: প্রতিদিন ফজর ও মাগরিবের নামাজের পড় ১ বার করে পড়তে হবে। 
 

Friday, October 16, 2020

আয়াতুল কুরসীর আরবি, বাংলা উচ্চারণ, অর্থ ও ফযলিত

 

আয়াতুল কুরসীর আরবি, বাংলা উচ্চারণ, অর্থ ও ফযলিত

            আরবি: 

اللّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلاَ نَوْمٌ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الأَرْضِ مَن ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلاَ يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلاَّ بِمَا شَاء وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ وَلاَ يَؤُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيم

            উচ্চারণ: আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্কাইয়্যুম।লা তা’খুজুহু সিনাত্যু ওয়ালা নাউম। লাহু মা ফিসসামা ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্। মান যাল্লাযী ইয়াস ফায়ু ইনদাহু ইল্লা বি ইজনিহি, ইয়া লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খালফাহুম, ওয়ালা ইউ হিতুনা বিশাই ইম্ মিন ইল্ মিহি ইল্লা বিমা শা'আ,ওয়াসিয়া কুরসি ইউহুস সামা ওয়াতি ওয়াল আরদ, ওয়ালা ইয়া উদুহু হিফজুহুমা ওয়াহুয়াল আলিয়্যূল আজীম।

            বাংলা অর্থ: আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নেই, তিনি জীবিত, সবকিছুর ধারক। তাকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়। আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে, সবই তার। কে আছ এমন, যে সুপারিশ করবে তার কাছে তার অনুমতি ছাড়া? দৃষ্টির সামনে কিংবা পিছনে যা কিছু রয়েছে সে সবই তিনি জানেন। তার জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোনো কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। তার কুরসি (সিংহাসন) সমস্ত আসমান ও যমীনকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর সেগুলোকে ধারণ করা তার পক্ষে কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান।

           ফযিলত: আবু জর জুনদুব ইবনে জানাদাহ (রা:) রাসূল (সা:)-কে জিজ্ঞেস করেছিলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা:)! আপনার প্রতি সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন কোন আয়াতটি নাজিল হয়েছে? রাসূল (সা:) বলেছিলেন, আয়াতুল কুরসী। উবাই বিন কাব থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা:) উবাই বিন কাবকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তোমার কাছে কুরআন মজীদের কোন আয়াতটি সর্ব মহান? তিনি বলেছিলেন, (আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুআল্ হাইয়্যূল কাইয়্যূম) তারপর রাসূলুল্লাহ্ নিজ হাত দ্বারা তার বক্ষে (হালকা) আঘাত করে বলেন: আবুল মুনযির! তোমার জ্ঞান আনন্দদায়ক হোক।

           উবাই ইবনে কা‘ব হতে বর্ণিত, তাঁর এক খেজুর রাখার থলি ছিল। সেটায় ক্রমশ তার খেজুর কমতে থাকত। একরাতে সে পাহারা দেয়। হঠাৎ যুবকের মত এক জন্তু দেখা গেলে, তিনি তাকে সালাম দেন। সে সালামের উত্তর দেয় । তিনি বলেন: তুমি কি ? জিন না মানুষ? সে বলে: জিন। উবাই তার হাত দেখতে চান। সে তার হাত দেয়। তার হাত ছিল কুকুরের হাতের মত আর চুল ছিল কুকুরের চুলের মত। তিনি বলেন: এটা জিনের সুরত। সে (জন্তু) বলে: জিন সম্প্রদায়ের মধ্যে আমি সবচেয়ে সাহসী। তিনি বলেন: তোমার আসার কারণ কি? সে বলে: আমরা শুনেছি আপনি সাদকা পছন্দ করেন, তাই কিছু সাদকার খাদ্যসামগ্রী নিতে এসেছি। সাহাবী বলেন: তোমাদের থেকে পরিত্রাণের উপায় কি? সে বলে: সূরা বাকারার এই আয়াতটি (আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লাহ হুআল হাইয়্যূল কাইয়্যূম), যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় এটি পড়বে, সকাল পর্যন্ত আমাদের থেকে পরিত্রাণ পাবে। আর যে ব্যক্তি সকালে এটি পড়বে, সন্ধ্যা পর্যন্ত আমাদের থেকে নিরাপদে থাকবে। সকাল হলে তিনি রাসূলুল্লাহ্র কাছে আসেন এবং ঘটনার খবর দেন। রাসূলুল্লাহ্ বলেন: খবীস সত্য বলেছে” ( সহীহুত্ তারগীব:১/৪১৮)

আবু উমামা (রা:) থেকে বর্ণিত, রাসূল বলেছেন:

Thursday, October 15, 2020

কবরের আযাব মাফের দোয়া বা করববাসীর আযাব মাফের দোয়া

 

কবরের আযাব মাফের দোয়া বা করববাসীর আযাব মাফের দোয়া 




 সূত্র: মকছুদুল মুমীন বা বেহেশতের পথ


 

Friday, October 9, 2020

কাযা নামাজ মাফের দোয়া

 

কাযা নামাজ মাফের দোয়া 


 এই দোয়াটি মনোযোগ ও দৃঢ় বিশ্বাসের সহিত পাঠ করিলে আল্লাহতায়ালা আমাদের কাযা নামাজ গুলো মাফ করে দিবেন। (ইনশাল্লাহ) আপনাদের পড়ার সুবিধার জন্য বই থেকে তুলে সরাসরি তুলে দিলাম।

Monday, October 5, 2020

গুনাহ মাফের দোয়া, আরবি, বাংলা উচ্চারণ ফযিলত বা উপকারিতা সহ

 

গুনাহ মাফের দোয়া,



অনেক ফযিলতের দোয়া




  সূত্র: মক্বছুদুল মুমীন বা বেহেশ্ তের পথ 

            নিয়ম: প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যা বা ফজর ও মাগরিবের নামাজের পর ১বার করে পড়তে হবে। এছাড়া যে কোন সময় পড়া যাবে। এই দোয়ার ফযিলত এত বড় ও তাত্ পর্যপূর্ণ । তাই সরাসরি বই থেকেই তুলে দিলাম। আসুন আমরা সবাই এই ফযিলতপূর্ণ আমলটি করে আল্লাহর অনুগ্রহ, দয়া ও কল্যাণ লাভ করবো। (ইনশাল্লাহ)

মোনাজাত


 মোনাজাত

Sunday, October 4, 2020

বিশ লাখ নেকীর দোয়া

 

বিশ লাখ নেকীর দোয়া 

      প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যা ৩বার এই আমলটি আমরা করতে পারি। আমি নিজে এই আমলটি ৫বার করে সকাল সন্ধ্যা পরি আল্লাহতায়ালার রহমতে। ৫বার পরার কারনটি হলো এই যে, ২০লাখ যদি ৫বার হয় তাহলে ১কোটি নেকী পাওয়া যায়। আল্লাহতায়ালা শেষ নবীর উম্মতদের জন্য ছোট ছোট কিছু আমল দিয়েছেন। যাতে করে তারা অল্প সময়ে বেশী সওয়াব পেতে পারে। তাই আমরা বেশী বেশী আমল করবো। (ইনশাআল্লাহ)

ইসমে আজম বাংলা, আরবি উচ্চারণ অর্থসহ

 

ইসমে আজম  বাংলা, আরবি উচ্চারণ অর্থসহ 



আয়াতে শেফার ফযিলত, আরবি ও বাংলা উচ্চারন অর্থসহ

 

আয়াতে শেফার ফযিলত, আরবি ও বাংলা উচ্চারন অর্থসহ

Saturday, October 3, 2020

আ’হাদনামার ফযিলত ও বাংলা উচ্চারণ

 

আ’হাদনামার ফযিলত ও বাংলা উচ্চারণ 

                ফযিলত- :সহীহ্ বর্ণনায় বর্ণিত হইয়াছে যে, কোনও লোক যদি সমগ্র জীবনে আ‘হাদনামা পাঠ করে তবে অবশ্যই আল্লাহ তাআলার রহমতে সে ঈমানের সহিত ইন্তেকাল করিবে ও বেহেশ্তবাসী হইবে। হযরত জাবের (রা:) বলিয়াছেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর নিকট হইতে শুনিয়াছি, মানুষের শরীরে তিন হাজার রোগ রহিয়াছে। তন্মধ্যে একহাজারের ঔষধ চিকিত্সকগণ জানেন এবং তাহারা সেইসবেরই চিকিত্সা করিয়া থাকেন। আর বাকী দুই হাজারের ঔষধ আল্লাহ ছাড়া কেহই জানেন না। যে ব্যক্তি আহাদ নামা পড়িবে ও লিখিয়া নিজের সাথে রাখিবে, আল্লাহ তাআলা তাহাকে ঐ সকল রোগ হইতে বাঁচাইয়া রাখিবেন।

        উচ্চারণ:- আল্লাহুম্মা ফাতিরাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি আ‘লিমাল গাইবি ওয়াশসাহাদাতি হুওয়ার রাহ্ মানুর রাহীম, আল্লাহুম্মা ইন্নী আ‘হাদু ইলাইকা ফী হাযিহিল হায়াতিদ্ দুনইয়া বিআন্নী আশহাদু আন লা-ইলাহা ইল্লা আনতা ওয়াহদাকা লা শারীকা লাকা ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুকা ওয়া রাসূলুকা ফালা তাকিলনি ইলা নাফসী ফাইন্নাকা ইন তাকিলনী ইলা নাফসী তুক্বাররিবনী ইলাশশাররি ওয়া তুবায়োদনী মিনাল খাইরি ওয়া ইন্নী লা আত্তাকীলু ইল্লা বিরাহমাতিকা ফাজআ‘ললী ইন্নাদাকা আহদান তুওয়াফফীহে ইলা ইয়াওমিল ক্বিয়ামাতি ইন্নাকা লা তুখলিফুল মীআ‘দ। ওয়া সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আ‘লা খাইরি খালক্বিহী মওহাম্মাদিও ওয়া আলিহী ওয়া আস্হাবিহী আজমাঈ‘না বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন।  

Friday, October 2, 2020

দুরুদে আকবর -এর ফযিলত, আরবি ও বাংলা উচ্চারণ

 

দুরুদে আকবর -এর ফযিলত, আরবি ও বাংলা উচ্চারণ




এই দুরুদে আকবরের রয়েছে অসামান্য ফযিলত। যা আমরা কেহই হাত ছাড়া করতে চাই না। এই দুরুদ শরীফ গুলো যেন আমরা বেশী বেশী আমল করতে পারি। আল্লাহতায়ালা আমাদের সেই তৌফিক দান করুন। (আমিন)

সুরা মুজাম্মিলের ফযিলত, আরবি ও বাংলা অর্থসহ উচ্চারণ

সুরা মুজাম্মিলের ফযিলত, আরবি ও বাংলা অর্থসহ উচ্চারণ







এই সুরা পড়তে আমরা কখনও কেই ভুলে যাবনা। (ইনশাল্লাহ)

সুরা মুলকের ফযিলত, আরবি, অর্থ সহ বাংলা উচ্চারণ










 পড়ার সুবিধার জন্য এই ভাবে বই থেকে সরাসরি তুলে দিলাম। আল্লাহতালা আমাদের সবাইকে সুরা মুলক সব সময় আমল করার তৌফিক দান করুন।

দুরুদে আকবর এর ২য় খন্ড

  দুরুদে আকবর এর ২য় খন্ড