সুরা আলাম নাশরাহ
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম।
أَلَمْ نَشْرَحْ لَكَ صَدْرَكَ (١)১. আলাম নাশরাহ লাকা ছোয়াদরাক।অর্থ- আমি কি আপনার বক্ষ উম্মুক্ত করে দেইনি?وَوَضَعْنَا عَنْكَ وِزْرَكَ (٢)২. অওয়াদ্বোয়া’না- আনকা ওয়িযরাক।অর্থ-আমি লাঘব করেছি আপনার বোঝা,الَّذِي أَنْقَضَ ظَهْرَكَ (٣)৩. ল্লাযী-- আনক্বাদ্বোয়া জোয়াহরক।অর্থ-যা ছিল আপনার জন্যে অতিশয় দুঃসহ।وَرَفَعْنَا لَكَ ذِكْرَكَ (٤)৪. অরাফা’না-লাকা যিকরক।অর্থ-আমি আপনার আলোচনাকে সমুচ্চ করেছি।فَإِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا (٥)৫. ফাইন্না মা’আল উ’সরি ইয়ুসরান।অর্থ-নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে।إِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا (٦)৬. ইন্না মা’আল উ’সরি ইয়ুসরা-অর্থ-নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে।فَإِذَا فَرَغْتَ فَانْصَبْ (٧)৭. ফাইযা-ফারাগতা ফানছোয়াব।অর্থ-অতএব, যখন অবসর পান পরিশ্রম করুন।وَإِلَى رَبِّكَ فَارْغَبْ (٨)৮. অইলা-রব্বিকা ফারগাব।অর্থ-এবং আপনার পালনকর্তার প্রতি মনোনিবেশ করুন।
ফযিলত- আমলটি হলো- যার স্মৃতিশক্তি দুর্বল তিনি নিজে অথবা তার পিতা-মাতা প্রতিদিন প্রত্যেক নামাজের পর সূরা আলাম নাশরাহ পড়ে তার বুকে ফুঁ দিবে। সূরা পাঠ করার শুরু ও শেষে একবার করে দরূদ শরিফ পড়বে। যদি শিক্ষার্থী সমঝদার হয়, তবে প্রতিবার পড়তে বসার সময়, প্রত্যেক ক্লাসের শুরুতে, শিক্ষার প্রতিটি আসরের শুরুতে আগে-পরে দরূদ শরিফসহ এ সূরা পড়ে নিজের বুকে ফুঁ দিবে। যে নিয়মিত এ আমল করবে, আল্লাহর রহমতে তার স্মৃতিশক্তি বাড়বে। বেশি বেশি করে পাঠ করুন- ‘হে আমার প্রতিপালক! আমার বক্ষ প্রশস্ত করে দাও। আমার কাজকে সহজ করে দাও। আমার জিহ্বা’র জড়তা (বচনের ত্র“টি) দূর করে দাও। যাতে তারা আমার বলা কথা বুঝতে পারে’। [সূরা ত্ব-হা: ২৫-২৮]
No comments:
Post a Comment