Saturday, February 27, 2021

সুরা ওয়াক্বিয়া

 

 সুরা ওয়াক্বিয়া

 

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।

 

إِذَا وَقَعَتِ الْوَاقِعَةُ

বাংলা উচ্চারণ:  ইযা-অক্বা‘আতিল্ ওয়া-ক্বি‘আতু।

অর্থ- যখন কিয়ামত সংঘটিত হবে।

لَيْسَ لِوَقْعَتِهَا كَاذِبَةٌ

বাংলা উচ্চারণ: লাইসা লিঅক‘আতিহা-কা-যিবাহ্।

অর্থ- তার সংঘটনের কোনই অস্বীকারকারী থাকবে না।

خَافِضَةٌ رَافِعَةٌ

বাংলা উচ্চারণ: খ-ফি দ্বোয়ার্তু র-ফি‘আহ।

অর্থ-তা কাউকে ভূলুণ্ঠিত করবে এবং কাউকে করবে সমুন্নত।

إِذَا رُجَّتِ الْأَرْضُ رَجًّا

বাংলা উচ্চারণ: ইযা- রুজ্জ্বাতিল্ র্আদু রজ্জ্বান্।

অর্থ-যখন যমীন প্রকম্পিত হবে প্রবল প্রকম্পনে।

وَبُسَّتِ الْجِبَالُ بَسًّا

বাংলা উচ্চারণ: অবুস্সাতিল্ জ্বিবা-লু বাস্সা-।

অর্থ-আর পর্বতমালা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে পড়বে।

فَكَانَتْ هَبَاءً مُنْبَثًّا

বাংলা উচ্চারণ: ফাকা-নাত্ হাবা-য়াম্ মুম্বাছ্ছাঁও।

অর্থ-অতঃপর তা বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত হবে।

وَكُنْتُمْ أَزْوَاجًا ثَلَاثَةً

বাংলা উচ্চারণ: অকুন্তুম্আয্ওয়া-জ্বান্ ছালা-ছাহ্।

অর্থ-আর তোমরা বিভক্ত হয়ে পড়বে তিন দলে।

فَأَصْحَابُ الْمَيْمَنَةِ مَا أَصْحَابُ الْمَيْمَنَةِ

বাংলা উচ্চারণ: ফাআছ্হা-বুল্ মাইমানাতি মা য় আছ্হা-বুল্ মাইমানাহ্।

অর্থ-সুতরাং ডান পার্শ্বের দল, ডান পার্শ্বের দলটি কত সৌভাগ্যবান!

وَأَصْحَابُ الْمَشْأَمَةِ مَا أَصْحَابُ الْمَشْأَمَةِ

বাংলা উচ্চারণ: অআছ্হা-বুল্ মাশ্য়ামাতি মা য় আছ্হা-বুল্ মাশ্য়ামাহ্।

অর্থ-আর বাম পার্শ্বের দল, বাম পার্শ্বের দলটি কত হতভাগ্য!

وَالسَّابِقُونَ السَّابِقُونَ

বাংলা উচ্চারণ: অস্সা-বিকু নাস্ সা-বিকুন।

অর্থ- আর অগ্রগামীরাই অগ্রগামী।

أُولَئِكَ الْمُقَرَّبُونَ

বাংলা উচ্চারণ: উলা-য়িকাল্ মুর্ক্বরাবূন্।

অর্থ-তারাই সান্নিধপ্রাপ্ত।

فِي جَنَّاتِ النَّعِيمِ

বাংলা উচ্চারণ: ফী জ্বান্না-তিন্ না‘ঈম্।

অর্থ-তারা থাকবে নিআমতপুর্ণ জান্নাতসমূহে ।

ثُلَّةٌ مِنَ الْأَوَّلِينَ

বাংলা উচ্চারণ: ছুল্লাতুম্ মিনাল্ আউয়্যালীন।

অর্থ-বহুসংখ্যক হবে পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে,

وَقَلِيلٌ مِنَ الْآخِرِينَ

বাংলা উচ্চারণ: অক্বালীলুম্ মিনাল্ আ-খিরীন্।

অর্থ-আর অল্পসংখ্যক হবে পরবর্তীদের মধ্য থেকে।

عَلَى سُرُرٍ مَوْضُونَةٍ

বাংলা উচ্চারণ: ‘আলা- সুরুরিম্ মাওদ্বূনাতিম্।

অর্থ-স্বর্ণ ও দামী পাথরখচিত আসনে!

مُتَّكِئِينَ عَلَيْهَا مُتَقَابِلِينَ

বাংলা উচ্চারণ: মুত্তাকিয়ীনা ‘আলাইহা-মুতাক্ব-বিলীন্।

অর্থ-তারা সেখানে হেলান দিয়ে আসীন থাকবে মুখোমুখি অবস্থায়।

يَطُوفُ عَلَيْهِمْ وِلْدَانٌ مُخَلَّدُونَ

বাংলা উচ্চারণ: ইয়াতুফু ‘আলাইহিম্ ওয়িল্দা-নুম্ মুখাল্লাদূন।

অর্থ-তাদের আশ-পাশে ঘোরাফেরা করবে চির কিশোররা,

بِأَكْوَابٍ وَأَبَارِيقَ وَكَأْسٍ مِنْ مَعِينٍ

বাংলা উচ্চারণ: বিআক্ওয়া-বিঁও অআবা-রীক্বা অকাসিম্ মিম্ মা‘ঈনিল্।

অর্থ-পানপাত্র, জগ ও প্রবাহিত ঝর্ণার শরাবপুর্ণ পেয়ালা নিয়ে,

لَا يُصَدَّعُونَ عَنْهَا وَلَا يُنْزِفُونَ

বাংলা উচ্চারণ: লা-ইয়ুছোয়াদ্দা‘ঊনা ‘আন্হা-অলা- ইয়ুন্যিফূন।

অর্থ-তা পানে না তাদের মাথা ব্যথা করবে, আর না তারা মাতাল হবে।

وَفَاكِهَةٍ مِمَّا يَتَخَيَّرُونَ

বাংলা উচ্চারণ: অফা-কিহাতিম্ মিম্মা-ইয়াতাখাইয়্যারূন।

অর্থ-আর (ঘোরাফেরা করবে) তাদের পছন্দমত ফল নিয়ে।

وَلَحْمِ طَيْرٍ مِمَّا يَشْتَهُونَ

বাংলা উচ্চারণ: অলাহ্মি ত্বোয়াইরিম্ মিম্মা-ইয়াশ্তাহূন।

অর্থ-আর পাখির গোশ্ত নিয়ে, যা তারা কামনা করবে।

وَحُورٌ عِينٌ

বাংলা উচ্চারণ: অহূরুন্ ‘ঈনুন্।

অর্থ-আর থাকবে ডাগরচোখা হূর,

كَأَمْثَالِ اللُّؤْلُؤِ الْمَكْنُونِ

বাংলা উচ্চারণ: কাআম্ছা-লিল্ লুলুয়িল্ মাক্নূন্ ।

অর্থ-যেন তারা সুরক্ষিত মুক্তা,

جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ

বাংলা উচ্চারণ: জ্বাযা-য়াম্ বিমা-কা-নূ ইয়া’মালূন্।

অর্থ-তারা যে আমল করত তার প্রতিদানস্বরূপ।

لَا يَسْمَعُونَ فِيهَا لَغْوًا وَلَا تَأْثِيمًا

বাংলা উচ্চারণ: লা-ইয়াস্মাঊ’না ফীহা-লাগ্ওয়াঁও অলা-তাছীমান্।

অর্থ-তারা সেখানে শুনতে পাবে না কোন বেহুদা কথা, এবং না পাপের কথা;

إِلَّا قِيلًا سَلَامًا سَلَامًا

বাংলা উচ্চারণ: ইল্লা-ক্বীলান্ সালা-মান্ সালা-মা-।

অর্থ-শুধু এই বাণী ছাড়া, ‘সালাম, সালাম’

وَأَصْحَابُ الْيَمِينِ مَا أَصْحَابُ الْيَمِينِ

বাংলা উচ্চারণ: অআছ্হা-বুল্ ইয়ামীনি মা য় আছ্হা-বুল্ ইয়ামীন্।

অর্থ-আর ডান দিকের দল; কত ভাগ্যবান ডান দিকের দল!

فِي سِدْرٍ مَخْضُودٍ

বাংলা উচ্চারণ: ফী সিদ্রিম্ মাখ্দ্বুদিঁও।

অর্থ-তারা থাকবে কাঁটাবিহীন কুলগাছের নিচে,

وَطَلْحٍ مَنْضُودٍ

বাংলা উচ্চারণ: অত্বোয়াল্হিম্ মান্দ্বুদিঁও।

অর্থ-আর কাঁদিপণূর্ কলাগাছের নিচে,

وَظِلٍّ مَمْدُودٍ

বাংলা উচ্চারণ: অজিল্লিম্ মামদূদিঁও।

অর্থ-আর বিস্তৃত ছায়ায়,

وَمَاءٍ مَسْكُوبٍ

বাংলা উচ্চারণ: অমা-য়িম্ মাস্কূবিঁও।

অর্থ-আর সদা প্রবাহিত পানির পাশে,

وَفَاكِهَةٍ كَثِيرَةٍ

বাংলা উচ্চারণ: অ ফা- কিহাতিন্ কাছীরাতিল্।

অর্থ-আর প্রচুর ফলমূলে,

لَا مَقْطُوعَةٍ وَلَا مَمْنُوعَةٍ

বাংলা উচ্চারণ: লা-মাকতুআতিঁও অলা-মাম্নূ‘আতিঁও ।

অর্থ-যা শেষ হবে না এবং নিষিদ্ধও হবে না।

وَفُرُشٍ مَرْفُوعَةٍ

বাংলা উচ্চারণ: অফুরুশিম্ মারফূ‘আহ্।

অর্থ-(তারা থাকবে) সুউচ্চ শয্যাসমূহে;

إِنَّا أَنْشَأْنَاهُنَّ إِنْشَاءً

বাংলা উচ্চারণ: ইন্না য় আন্শানা-হুন্না ইন্শা-য়ান্।

অর্থ-নিশ্চয় আমি হূরদেরকে বিশেষভাবে সৃষ্টি করব।

فَجَعَلْنَاهُنَّ أَبْكَارًا

বাংলা উচ্চারণ: ফাজ্বা‘আল্না-হুন্না আব্কা-রন্।

অর্থ-অতঃপর তাদেরকে বানাব কুমারী,

عُرُبًا أَتْرَابًا

বাংলা উচ্চারণ: উ’রুবান্ আত্র-বাল্

অর্থ-সোহাগিনী ও সমবয়সী।

لِأَصْحَابِ الْيَمِينِ

বাংলা উচ্চারণ: লিআছ্হা-বিল্ ইয়ামীন্।

অর্থ-ডানদিকের লোকদের জন্য।

ثُلَّةٌ مِنَ الْأَوَّلِينَ

বাংলা উচ্চারণ: ছুল্লাতুম্ মিনাল্ আউয়্যালীনা।

অর্থ-তাদের অনেকে হবে পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে।

وَثُلَّةٌ مِنَ الْآخِرِينَ

বাংলা উচ্চারণ: অছুল্লাতুম্ মিনাল্ আ-খিরীন্।

অর্থ-আর অনেকে হবে পরবর্তীদের মধ্য থেকে।

وَأَصْحَابُ الشِّمَالِ مَا أَصْحَابُ الشِّمَالِ

বাংলা উচ্চারণ: অআছ্হা-বুশ্ শিমা- লি মা য় আছ্হা-বুশ্ শিমা-ল্।

অর্থ-আর বাম দিকের দল, কত হতভাগ্য বাম দিকের দল!

فِي سَمُومٍ وَحَمِيمٍ

বাংলা উচ্চারণ: ফী সামূমিঁও অহামীমিঁও।

অর্থ-তারা থাকবে তীব্র গরম হাওয়া এবং প্রচণ্ড উত্তপ্ত পানিতে,

وَظِلٍّ مِنْ يَحْمُومٍ

বাংলা উচ্চারণ: অজিল্লিম্ মিঁ ইয়াহ্মূমিল্।

অর্থ-আর প্রচণ্ড কালো ধোঁয়ার ছায়ায়,

لَا بَارِدٍ وَلَا كَرِيمٍ

বাংলা উচ্চারণ: লা-বা-রিদিঁও অলা-কারীম্।

অর্থ-যা শীতলও নয়, সখু করও নয়।

إِنَّهُمْ كَانُوا قَبْلَ ذَلِكَ مُتْرَفِينَ

বাংলা উচ্চারণ: ইন্নাহুম্ ক্বা-নূ ক্বব্লা যা-লিকা মুত্রাফীন্।

অর্থ-নিশ্চয় তারা ইতঃপূবের্ বিলাসিতায় মগ্ন ছিল,

وَكَانُوا يُصِرُّونَ عَلَى الْحِنْثِ الْعَظِيمِ

বাংলা উচ্চারণ: অকা-নূ ইয়ুর্ছিরূ-না ‘আলাল্ হিন্ছিল্ ‘আজীম্।

অর্থ-আর তারা জঘন্য পাপে লেগে থাকত।

وَكَانُوا يَقُولُونَ أَئِذَا مِتْنَا وَكُنَّا تُرَابًا وَعِظَامًا أَئِنَّا لَمَبْعُوثُونَ

বাংলা উচ্চারণ: অ কা-নূ ইয়াকু লূনা আইযা-মিত্না-অকুন্না-তুরা-বাঁও অই’জোয়া-মান্ য়াইন্না-লামাব্ঊছূনা।

অর্থ-আর তারা বলত, ‘আমরা যখন মরে যাব এবং মাটি ও হাড়ে পরিণত হব তখনও কি আমরা পুনরুত্থিত হব?’

أَوَآبَاؤُنَا الْأَوَّلُونَ

বাংলা উচ্চারণ: আ ওয়া আ-বা-য়ু নাল্ আওয়ালূন্।

অর্থ-‘আমাদের পূর্ববর্তী পিতৃপুরুষরাও?’

قُلْ إِنَّ الْأَوَّلِينَ وَالْآخِرِينَ

বাংলা উচ্চারণ: কুল্ ইন্নাল্ আউয়্যালীনা অল্আ-খিরীনা

অর্থ-বল, ‘নিশ্চয় পূর্ববর্তীরা ও পরবর্তীরা,

لَمَجْمُوعُونَ إِلَى مِيقَاتِ يَوْمٍ مَعْلُومٍ

বাংলা উচ্চারণ: লামাজ্ব্ মূ‘ঊ না ইলা-মীক্ব-তি ইয়াওমিম্ মা’লূম্।

অর্থ-এক নির্ধারিত দিনের নির্দিষ্ট সময়ে অবশ্যই একত্র হবে’।

ثُمَّ إِنَّكُمْ أَيُّهَا الضَّالُّونَ الْمُكَذِّبُونَ

বাংলা উচ্চারণ: ছুম্মা ইন্নাকুম্ আইয়ুহাদ্দোয়া-ল্লূনাল্ মুকায্যিবূন।

অর্থ-তারপর হে পথভ্রষ্ট ও অস্বীকারকারীরা,

لَآكِلُونَ مِنْ شَجَرٍ مِنْ زَقُّومٍ

বাংলা উচ্চারণ: লাআ-কিলূনা মিন্ শাজ্বারিম্ মিন্ যাককুমিন্

অর্থ-তোমরা অবশ্যই যাক্কূম গাছ থেকে খাবে,

فَمَالِئُونَ مِنْهَا الْبُطُونَ

বাংলা উচ্চারণ: ফামা-লিয়ূনা মিন্হাল্ বুতুন্ ।

অর্থ-অতঃপর তা দিয়ে পেট ভর্তি করবে।

فَشَارِبُونَ عَلَيْهِ مِنَ الْحَمِيمِ

বাংলা উচ্চারণ: ফাশা-রিবূনা ‘আলাইহি মিনাল্ হামীম্।

অর্থ-তদুপরি পান করবে প্রচণ্ড উত্তপ্ত পানি।

فَشَارِبُونَ شُرْبَ الْهِيمِ

বাংলা উচ্চারণ: ফাশা-রিবূনা র্শুবাল্ হীম্।

অর্থ-অতঃপর তোমরা তা পান করবে তৃষ্ণাতুর উটের ন্যায়।

هَذَا نُزُلُهُمْ يَوْمَ الدِّينِ

বাংলা উচ্চারণ: হা-যা-নুযুলুহুম্ ইয়াওমাদ্দীন্।

অর্থ-প্রতিফল দিবসে এই হবে তাদের মেহমানদারী,

نَحْنُ خَلَقْنَاكُمْ فَلَوْلَا تُصَدِّقُونَ

বাংলা উচ্চারণ: নাহ্নু খলাকনা-কুম্ ফালাওলা তুছোয়াদ্দিক্বূন্।

অর্থ-আমিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি: তাহলে কেন তোমরা তা বিশ্বাস করছ না?

أَفَرَأَيْتُمْ مَا تُمْنُونَ

বাংলা উচ্চারণ: আফারায়াইতুম্ মা তুম্নূন্।

অর্থ-তোমরা কি ভেবে দেখেছ, তোমরা যে বীযর্পাত করছ সে সম্পর্কে?

أَأَنْتُمْ تَخْلُقُونَهُ أَمْ نَحْنُ الْخَالِقُونَ

বাংলা উচ্চারণ: আআন্তুম্ তাখ্লুকু নাহূ য় আম্ নাহ্নুল ‘খ-লিকুন্ ।

অর্থ-তা কি তোমরা সৃষ্টি কর, না আমিই তার স্রষ্টা?

نَحْنُ قَدَّرْنَا بَيْنَكُمُ الْمَوْتَ وَمَا نَحْنُ بِمَسْبُوقِينَ

বাংলা উচ্চারণ: নাহ্নু ক্বার্দ্দানা-বাইনাকুমুল্ মাওতা অমা-নাহ্নু বিমাস্বূক্বীন।

অর্থ-আমি তোমাদের মধ্যে মৃত্যু নির্ধারণ করেছি এবং আমাকে অক্ষম করা যাবে না,

عَلَى أَنْ نُبَدِّلَ أَمْثَالَكُمْ وَنُنْشِئَكُمْ فِي مَا لَا تَعْلَمُونَ

বাংলা উচ্চারণ: ‘আলা য় আন্ নুবাদ্দিলা আম্ছা-লাকুম্ অনুন্শিয়াকুম্ আম্ছা-লাকুম্ অনুন্শিয়াকুম্ ফীমা-লা-তা’লামূন্।

অর্থ-তোমাদের স্থানে তোমাদের বিকল্প আনয়ন করতে এবং তোমাদেরকে এমনভাবে সৃষ্টি করতে যা তোমরা জান না।

وَلَقَدْ عَلِمْتُمُ النَّشْأَةَ الْأُولَى فَلَوْلَا تَذَكَّرُونَ

বাংলা উচ্চারণ: অলাক্বদ্ ‘আলিম্তুমুন্ নাশ্য়াতাল্ ঊলা-ফালাওলা- তাযাক্কারূন্।

অর্থ-আর তোমরা তো প্রথম সৃষ্টি সম্পর্কে জেনেছ, তবে কেন তোমরা উপদেশ গ্রহণ করছ না?

أَفَرَأَيْتُمْ مَا تَحْرُثُونَ

বাংলা উচ্চারণ: আফারায়াইতুম্ মা-তাহারুছূন্।

অর্থ-তোমরা আমাকে বল, তোমরা যমীনে যা বপন কর সে ব্যাপারে,

أَأَنْتُمْ تَزْرَعُونَهُ أَمْ نَحْنُ الزَّارِعُونَ

বাংলা উচ্চারণ: আআন্তুম্ তায্রঊ’নাহূ য় আম্ নাহ্নুয্ যা-রিঊ’ন্।

অর্থ-তোমরা তা অঙ্কুরিত কর, না আমি অঙ্কুরিত করি?

لَوْ نَشَاءُ لَجَعَلْنَاهُ حُطَامًا فَظَلْتُمْ تَفَكَّهُونَ

বাংলা উচ্চারণ: লাও নাশা-য়ু লাজ্বা‘আল্না-হু হুত্বোয়া-মান্ ফাজোয়াল্তুম্ তাফাক্কাহূন্।

অর্থ-আমি চাইলে তা খড়-কুটায় পরিণত করতে পারি, তখন তোমরা পরিতাপ করতে থাকবে-

إِنَّا لَمُغْرَمُونَ

বাংলা উচ্চারণ: ইন্না-লামুগ্রমূন্।

অর্থ-(এই বলে,) ‘নিশ্চয় আমরা দায়গ্রস্ত হয়ে গেলাম’।

بَلْ نَحْنُ مَحْرُومُونَ

বাংলা উচ্চারণ: বাল্ নাহ্নু মাহ্রূমূন্।

অর্থ-‘বরং আমরা মাহরূম হয়েছি’।

أَفَرَأَيْتُمُ الْمَاءَ الَّذِي تَشْرَبُونَ

বাংলা উচ্চারণ: আফারয়াইতুমুল্ মা-য়াল্ লাযী তাশ্রবূন্।

অর্থ-তোমরা যে পানি পান কর সে ব্যাপারে আমাকে বল।

أَأَنْتُمْ أَنْزَلْتُمُوهُ مِنَ الْمُزْنِ أَمْ نَحْنُ الْمُنْزِلُونَ

বাংলা উচ্চারণ: আআন্তুম্ আন্ যাল্তুমূহু মিনাল্ মুয্নি আম্ নাহ্নুল্ মুন্যিলূন্।

অর্থ-বৃষ্টিভরা মেঘ থেকে তোমরা কি তা বষর্ণ কর, না আমি বৃষ্টি বষর্ণ কারী?

لَوْ نَشَاءُ جَعَلْنَاهُ أُجَاجًا فَلَوْلَا تَشْكُرُونَ

বাংলা উচ্চারণ: লাও নাশা-য়ু জ্বা‘আল্না-হু উজ্বা-জ্বান্ ফালাওলা- তাশ্কুরূ ন্।

অর্থ-ইচ্ছা করলে আমি তা লবণাক্ত করে দিতে পারি: তবুও কেন তোমরা কৃতজ্ঞ হও না?

أَفَرَأَيْتُمُ النَّارَ الَّتِي تُورُونَ

বাংলা উচ্চারণ: আফারয়াইতুমু ন্না-র ল্লাতী তূরূন্।

অর্থ-তোমরা যে আগুন জ্বালাও সে ব্যাপারে আমাকে বল,

أَأَنْتُمْ أَنْشَأْتُمْ شَجَرَتَهَا أَمْ نَحْنُ الْمُنْشِئُونَ

বাংলা উচ্চারণ: আ-আন্তুম্ আন্শাতুম্ শাজ্বারতাহা য় আম্ নাহ্নুল্ মুন্শিয়ূন্।

অর্থ-তোমরাই কি এর (লাকড়ির গাছ) উৎপাদন কর, না আমি করি?

نَحْنُ جَعَلْنَاهَا تَذْكِرَةً وَمَتَاعًا لِلْمُقْوِينَ

বাংলা উচ্চারণ: নাহ্নু জ্বা‘আল্না-হা তায্কিরতাঁও অমাতা-‘আল্ লিল্মুকওয়ীন্।

অর্থ-একে আমি করেছি এক স্মারক ও মরুবাসীর প্রয়োজনীয় বস্তু

فَسَبِّحْ بِاسْمِ رَبِّكَ الْعَظِيمِ

বাংলা উচ্চারণ: ফাসাব্বিহ্ বিস্মি রব্বিকাল্ ‘আজীম্।

অর্থ-অতএব তোমার মহান রবের নামে তাসবীহ পাঠ কর।

فَلَا أُقْسِمُ بِمَوَاقِعِ النُّجُومِ

বাংলা উচ্চারণ: ফালা য় উক্বসিমু বিমাওয়া-ক্বি‘ইন্ নুজুমি।

অর্থ-সুতরাং আমি কসম করছি নক্ষত্ররাজির অস্তাচলের,

وَإِنَّهُ لَقَسَمٌ لَوْ تَعْلَمُونَ عَظِيمٌ

বাংলা উচ্চারণ: অইন্নাহূ লাক্বাসামু ল্লাও তা’লামূনা ‘আজীম।

অর্থ-আর নিশ্চয় এটি এক মহাকসম, যদি তোমরা জানতে,

إِنَّهُ لَقُرْآنٌ كَرِيمٌ

বাংলা উচ্চারণ: ইন্নাহূ লা কুর আ-নুন্ কারীমুন্।

অর্থ-নিশ্চয় এটি মহিমান্বিত কুরআন,

فِي كِتَابٍ مَكْنُونٍ

বাংলা উচ্চারণ: ফী কিতা-বিম্ মাক্নূনিল্।

অর্থ-যা আছে সুরক্ষিত কিতাবে,

لَا يَمَسُّهُ إِلَّا الْمُطَهَّرُونَ

বাংলা উচ্চারণ: লা ইয়া স্সুহূ য় ইল্লাল্ মুত্বোয়াহ্ হারূন্।

অর্থ-কেউ তা স্পর্শ করবে না পবিত্রগণ ছাড়া।

تَنْزِيلٌ مِنْ رَبِّ الْعَالَمِينَ

বাংলা উচ্চারণ: তান্যীলুম্ র্মি রব্বিল্ ‘আ-লামী ন্।

অর্থ-তা সৃষ্টিকুলের রবের কাছ থেকে নাযিলকৃত।

أَفَبِهَذَا الْحَدِيثِ أَنْتُمْ مُدْهِنُونَ

বাংলা উচ্চারণ: আফাবিহা-যাল্ হাদীছি আন্তুম্ মুদ্হিনূনা।

অর্থ-তবে কি তোমরা এই বাণী তুচ্ছ গণ্য করছ?

وَتَجْعَلُونَ رِزْقَكُمْ أَنَّكُمْ تُكَذِّبُونَ

বাংলা উচ্চারণ: অতাজ্ব ‘আলূনা রিয্ক্বকুম্ আন্নাকুম্ তুকায্যিবূন্।

অর্থ-আর তোমরা তোমাদের রিয্ক বানিয়ে নিয়েছ যে, তোমরা মিথ্যা আরোপ করবে।

فَلَوْلَا إِذَا بَلَغَتِ الْحُلْقُومَ

বাংলা উচ্চারণ: ফালাওলা য় ইযা-বালাগতিল্ হুল্ক্বুম্।

অর্থ-সুতরাং কেন নয়- যখন রূহ কণ্ঠদেশে পৌঁছে যায়?

وَأَنْتُمْ حِينَئِذٍ تَنْظُرُونَ

বাংলা উচ্চারণ: অআন্তুম্ হীনায়িযিন্ তান্জুরূনা।

অর্থ-আর তখন তোমরা কেবল চেয়ে থাক।

وَنَحْنُ أَقْرَبُ إِلَيْهِ مِنْكُمْ وَلَكِنْ لَا تُبْصِرُونَ

বাংলা উচ্চারণ: অনাহ্নু আকরাবু ইলাইহি মিন্কুম্ অলা-কিল্লা-তুব্ছিরূন্।

অর্থ-আর তোমাদের চাইতে আমি তার খুব কাছে; কিন্তু তোমরা দেখতে পাও না।

فَلَوْلَا إِنْ كُنْتُمْ غَيْرَ مَدِينِينَ

বাংলা উচ্চারণ: ফালাওলা য় ইন্ কুন্তুম্ গইর মাদীনীন।

অর্থ-তোমাদের যদি প্রতিফল দেয়া না হয়, তাহলে তোমরা কেন

تَرْجِعُونَهَا إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ

বাংলা উচ্চারণ: র্তাজ্বি‘ঊনাহা য় ইন্ কুন্তুম্ ছোয়া-দিক্বীন্।

অর্থ-ফিরিয়ে আনছ না রূহকে, যদি তোমরা সত্যবাদী হও?

فَأَمَّا إِنْ كَانَ مِنَ الْمُقَرَّبِينَ

বাংলা উচ্চারণ: ফা আম্মা য় ইন্ কা-না মিনাল্ মুর্ক্বারবীন।

অর্থ-অতঃপর সে যদি নৈকট্যপ্রাপ্তদের অন্যতম হয়,

فَرَوْحٌ وَرَيْحَانٌ وَجَنَّةُ نَعِيمٍ

বাংলা উচ্চারণ: ফারওহুঁও অরইহা-নুঁও অজ্বান্নাতু না‘ঈম্।

অর্থ-তবে তার জন্য থাকবে বিশ্রাম, উত্তম জীবনোপকরণ ও সুখময় জান্নাত।

وَأَمَّا إِنْ كَانَ مِنْ أَصْحَابِ الْيَمِينِ

বাংলা উচ্চারণ: অ আম্মা য় ইন্ কা-না মিন্ আছ্হা-বিল্ ইয়ামীন।

অর্থ-আর সে যদি হয় ডানদিকের একজন,

فَسَلَامٌ لَكَ مِنْ أَصْحَابِ الْيَمِينِ

বাংলা উচ্চারণ: ফাসালা-মুল্ লাকা মিন্ আছহা-বিল্ ইয়ামীন্।

অর্থ-তবে (তাকে বলা হবে), ‘তোমাকে সালাম, যেহেতু তুমি ডানদিকের একজন’।

وَأَمَّا إِنْ كَانَ مِنَ الْمُكَذِّبِينَ الضَّالِّينَ

বাংলা উচ্চারণ: অ আম্মা য় ইন্ কা-না মিনাল্ মুকায্যিবীনাদ্ব্ দ্বোয়া-ল্লীন।

অর্থ-আর সে যদি হয় অস্বীকারকারী ও পথভ্রষ্ট,

فَنُزُلٌ مِنْ حَمِيمٍ

বাংলা উচ্চারণ: ফা নুযুলুম্ মিন্ হামীমিঁও।

অর্থ-তবে তার মেহমানদারী হবে প্রচণ্ড উত্তপ্ত পানি দিয়ে,

وَتَصْلِيَةُ جَحِيمٍ

বাংলা উচ্চারণ: অ তাছ্লিয়াতু জ্বাহীম্।

অর্থ-আর জ্বলন্ত আগুনে প্রজ্জ্বলনে।

إِنَّ هَذَا لَهُوَ حَقُّ الْيَقِينِ

বাংলা উচ্চারণ: ইন্না হা-যা-লাহুওয়া হাককুল্ ইয়াক্বীন্।

অর্থ-নিশ্চয় এটি অবধারিত সত্য।

فَسَبِّحْ بِاسْمِ رَبِّكَ الْعَظِيمِ

বাংলা উচ্চারণ: ফাসাব্বিহ্ বিস্মি রব্বিকাল্ ‘আজীম্।

অর্থ- অতএব তোমার মহান রবের নামে তাসবীহ পাঠ কর।

 

সুরা ওয়াকিয়া এর গুরুত্ব ও ফযিলত

 

 সুরা ওয়াকিয়া এর গুরুত্ব ও ফযিলত

 

               সূরা আল- ওয়াক্বিয়াহ মহাগ্রন্থ আল কোরআনের ৫৬তম সূরা। এই সূরার আয়াত সংখ্যা ৯৬, রুকু আছে ৩টি। সূরা আল-ওয়াকিয়াহ মক্কায় অবতীর্ণ হয়, পারার ক্রম হচ্ছে ৩০। সূরা আল- ওয়াক্বিয়া’র নামের অর্থ, নিশ্চিত ঘটনা।

             মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি সূরা ওয়াক্বিয়াহ  পাঠ করবে, সে কখনো ক্ষুধায় কষ্ট ভোগ করবে না।’

              এই সূরা পাঠ করলে দরিদ্রতা গ্রাস করতে পারেনা। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতিদিন রাতে সূরা ওয়াক্বিয়াহ তেলাওয়াত করবে তাকে কখনো দরিদ্রতা স্পর্শ করবে না। হজরত ইবনে মাসউদ (রা.) তার মেয়েদেরকে প্রত্যেক রাতে এ সূরা তেলাওয়াত করার আদেশ করতেন। (বাইহাকি:শুআবুল ঈমান-২৪৯৮)

             হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতিদিন রাতে সূরা ওয়াক্বিয়াহ তিলাওয়াত করবে তাকে কখনো দরিদ্রতা স্পর্শ করবে না। হজরত ইবনে মাসউদ (রা.) তাঁর মেয়েদেরকে প্রত্যেক রাতে এ সূরা তিলাওয়াত করার আদেশ করতেন। (বাইহাকি: শুআবুল ঈমান-২৪৯৮)

              সুরা আর রাহমান, সুরা হাদিদ ও সুরা ওয়াকিয়া’র তেলাওয়াতকারীকে কেয়ামতের দিন জান্নাতুল ফিরদাউসের অধিবাসী হিসেবে ডাকা হবে। অন্য এক হাদিসে আছে, সুরা ওয়াকিয়াহ হলো ধনাঢ্যতার সুরা, সুতরাং তোমরা নিজেরা তা পড় এবং তোমাদের সন্তানদেরকেও এ সুরার শিক্ষা দাও। অন্য এক বর্ণনায় আছে: তোমাদের নারীদেরকে এ সুরার শিক্ষা দাও। আম্মাজান হজরত আয়েশা [রা.] কে এ সুরা তেলাওয়াত করার জন্য আদেশ করা হয়েছিল। তাছাড়া এ সুরা শারিরিক সুস্থতা রক্ষা ও অসুস্থতা দূরীকরণেও উপকারী। ইমাম গাজালী রহ. বলেন: মাশায়েখদের কাউকে আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে, আমাদের আওলিয়ায়ে কিরামের মধ্যে যে অভাবের সময় সুরা ওয়াকিয়াহ তেলাওয়াতের আমল জারী আছে তার উদ্দেশ্য কি এটা নয় যে, এর উছিলায় আল্লাহ তায়ালা যেনো অভাব মোচন করে দেন এবং দুনিয়াবী প্রাচুর্য দান করেন, তাহলে আখেরাতের আমল দিয়ে দুনিয়াবী সম্পদ কামনা করা কি বৈধ হলো? তখন তিনি উত্তরে বলেছিলেন, এ আমলের দ্বারা তাদের উদ্দেশ্য ছিল, আল্লাহ তায়ালা যেনো তাদেরকে যে হালাতে রেখেছেন তার উপরই তুষ্ট থাকার তৌফিক দান করেন। অথবা এমন রিজিক দান করেন যার দ্বারা তারা ইবাদতের শক্তি যোগাবেন অথবা ইলম অর্জনের পাথেয় যোগাবেন। তাই এখানে দুনিয়া তলব করা উদ্দেশ্য হলো না বরং নেকীর কাজের উদ্দেশ্য করা হলো।

তাছাড়া অভাবের সময় এ সুরার আমলের কথাটা তো হাদিস দ্বারাই প্রমানিত। এমনকি বর্ণিত আছে যে হজরত ইবনে মাসউদ [রা.] কে যখন তার সন্তানদের জন্য একটি দিনারও রেখে না যাওয়ার কারণে তিরস্কার করা হলো তখন তিনি উত্তরে বলেছিলেন, তাদের জন্য আমি সুরা ওয়াকিয়াহ রেখে গেলাম। [ফয়জুল কাদির-৪/৪১]

 

 

 

Friday, February 12, 2021

সূরা হুমাযাহ এর আরবি, বাংলা উচ্চারণ অর্থসহ


 

সূরা হুমাযাহ এর আরবি ও বাংলা উচ্চারণ অর্থসহ

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ

وَیۡلٌ لِّکُلِّ ہُمَزَۃٍ لُّمَزَۃِۣ۱ ۙ

الَّذِیۡ جَمَعَ مَالًا وَّ عَدَّدَہٗ ۙ﴿۲
 یَحۡسَبُ اَنَّ مَالَہٗۤ اَخۡلَدَہٗ ۚ﴿۳
 کَلَّا لَیُنۡۢبَذَنَّ فِی الۡحُطَمَۃِ ۫﴿ۖ۴
وَ مَاۤ اَدۡرٰىکَ مَا الۡحُطَمَۃُ ؕ﴿۵
نَارُ اللّٰہِ الۡمُوۡقَدَۃُ ۙ﴿۶
 الَّتِیۡ تَطَّلِعُ عَلَی الۡاَفۡـِٕدَۃِ ؕ﴿۷
﴾اِنَّہَا عَلَیۡہِمۡ مُّؤۡصَدَۃٌ ۙ﴿۸
 فِیۡ عَمَدٍ مُّمَدَّدَۃٍ ٪﴿۹

 
 
বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ:
 
 বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়
 
১) অইলুল্লি কুল্লি হুমাযাতিল ল্লুমাযাতি। 
অর্থ- ধ্বংস এমন প্রত্যেক ব্যক্তির যে, সম্মুখে ও পশ্চাতে পরনিন্দা করে।
 
২) নিল্লাযী জ্বামা'আ মালাও অ'আদ্দাদাহু। 
অর্থ-যে অধিক লোভে অর্থ জমায় এবং বারবার গণনা করে।
 
৩) ইয়াহসাবু আন্না মা-লাহু আখলাদাহ। 
 অর্থ- সে মনে করে যে, সম্পদ তার নিকট চিরকাল থাকবে।
 
৪) কাল্লা লাইয়ুমবাযান্না ফিল হুত্বামাহ। 
 অর্থ-  কখনও নয় সে অবশ্যই হুতামায় নিক্ষিপ্ত হবে।
 
৫) অমা আদরাক্বামাল হুত্বামাহ। 
অর্থ- আর আপনি কি জানেন, হুতামা কি?
 
৬) না-রুল্লা হিল মূ'ক্বাদাত। 
 অর্থ-  তা (হুতামা) আল্লাহর প্রজ্বলিত আগুন।
 
৭) আল্লাতী তাত্তায়ালিউ 'আলাল আফয়িদাহ। 
 অর্থ- যা (শরীর স্পর্শ করামাত্র) অন্তর পর্যন্ত গ্রাস করবে।  
 
৮) ইন্নাহা 'আলাইহিম মু'ছাদাতুন। 
অর্থ- নিশ্চই তা (সে আগুন) তাদের ওপর পরিবেষ্টিত করে দেয়া হবে
 
৯) ফী 'আমাদিম মুমাদ্দাদাহ।
অর্থ- উঁচু উঁচু স্তম্ভসমূহে ।
 

মর্মবাণী:

         দুর্ভোগ এমন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্যে, যে সামনাসামনি দুর্ব্যবহার করে এবং পেছনে নিন্দা করে। (দুর্ভোগ এমন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্যে) যে (কৃপণের মতো) অর্থ জমায় আর বার বার তা গণনা করে এবং একে নিজের রক্ষাকবচ মনে করে। সে মনে করে তার অর্থ তাকে অনন্তকাল বাঁচিয়ে রাখবে। না, কখনো নয়। সে-তো (পরকালে) ‘হুতামা’য় নিক্ষিপ্ত হবে। তুমি কি জানো ‘হুতামা’ কী? হুতামা হচ্ছে বিশাল প্রজ্জ্বলিত চুল্লি, যার আগুন হৃদয়কে চূর্ণবিচূর্ণ করে দহন করবে। বিশাল স্তম্ভসমূহ পরিবেষ্টিত চুল্লির মুখও ঢেকে দেয়া হবে (দহনযন্ত্রণাকে চূড়ান্ত রূপ দেয়ার জন্যে)।

 
 

 

Thursday, February 11, 2021

কোরআনের সুরা সমূহের নামের তালিকা অর্থসহ

 

কোরআনের সূরা সমূহের তালিকা

সূরা (আরবি: سورة‎‎) হচ্ছে ইসলামী পরিভাষায় মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ কুরআনের এক একটি অধ্যায়ের নাম। তবে এটি সাধারণ পুস্তকের অধ্যায়ের মত নয় বরং বিশেষভাবে কেবল কুরআনের বৈশিষ্ট্যের জন্যই এর উৎপত্তি। তাই এটি প্রকৃত অর্থেই একটি কুরআনিক পরিভাষা যাকে কেবল কুরআনের দৃষ্টিকোণ থেকেই ব্যাখ্যা করা যায়। কুরআনের প্রথম সূরা হলো "আল ফাতিহা" এবং শেষ সূরার নাম "আন-নাস্"। দীর্ঘতম সূরা হলো "আল বাকারা"। সূরা "তাওবা" ব্যতীত সকল সূরা শুরু হয়েছে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম দিয়ে। একটি সূরা বা এর অংশবিশেষ অবতীর্ণ হওয়ার প্রেক্ষাপট বা ইতিহাসকে বলা হয় শানে নুযূল। 

কুরআনে সর্বমোট ১১৪টি সূরা রয়েছে। কুরআনে সূরার অবস্থান ক্রমানুসারে ইসলামের তৃতীয় খলিফা হযরত উসমান এর নেতৃত্বে নিম্নরূপ নির্ধারণ করা হয়। সূরাগুলোর নামের পাশের কলামে বাংলা অর্থ দেয়া আছে।

কোরআনে অবস্থান বাংলা উচ্চারণ নাম (আরবি) বাংলায় নামের অর্থ আয়াত সংখ্যা অবতীর্ণের স্থান অবতীর্ণের অনুক্রম
আল ফাতিহা الفاتحة সূচনা মক্কা ০০৫
আল বাকারা البقرة বকনা-বাছুর ২৮৬ মদীনা ০৮৭
আল ইমরান آل عمران ইমরানের পরিবার ২০০ মদীনা ০৮৯
আন নিসা النّساء মহিলা ১৭৬ মদীনা ০৯২
আল মায়িদাহ المآئدة খাদ্য পরিবেশিত টেবিল ১২০ মদীনা ১১২
আল আনআম الانعام গৃৃহপালিত পশু ১৬৫ মক্কা ০৫৫
আল আরাফ الأعراف উচু স্থানসমূহ ২০৬ মক্কা ০৩৯
আল আনফাল الأنفال যুদ্ধে-লব্ধ ধনসম্পদ ৭৫ মদীনা ০৮৮
আত-তাওবাহ্‌ التوبة অনুশোচনা ১২৯ মদীনা ১১৩
১০ ইউনুস يونس নবী ইউনুস ১০৯ মক্কা ০৫১
১১ হুদ هود নবী হুদ ১২৩ মক্কা ০৫২
১২ ইউসুফ يوسف নবী ইউসুফ ১১১ মক্কা ০৫৩
১৩ আর-রাদ الرّعد বজ্রনাদ ৪৩ মদীনা ০৯৬
১৪ ইব্রাহীম إبراهيم নবী ইব্রাহিম ৫২ মদীনা ০৭২
১৫ সূরা আল হিজর الحجر পাথুরে পাহাড় ৯৯ মক্কা ০৫৪
১৬ আন নাহল النّحل মৌমাছি ১২৮ মক্কা ০৭০
১৭ বনী-ইসরাঈল الإسرا ইসরায়েলের সন্তানগণ ১১১ মক্কা ০৫০
১৮ আল কাহফ الكهف গুহা ১১০ মক্কা ০৬৯
১৯ মারইয়াম مريم মারিয়াম (নবী ঈসার মা) ৯৮ মক্কা ০৪৪
২০ ত্বোয়া-হা طه ত্বোয়া-হা ১৩৫ মক্কা ০৪৫
২১ আল আম্বিয়া الأنبياء নবীগণ ১১২ মদীনা ০৭৩
২২ আল হাজ্জ্ব الحجّ হাজ্জ ৭৮ মদীনা ১০৩
২৩ আল মু'মিনূন المؤمنون বিশ্বাসীগণ ১১৮ মদীনা ০৭৪
২৪ আন নূর النّور আলো,জ্যোতি ৬৪ মদীনা ১০২
২৫ আল ফুরকান الفرقان সত্য মিথ্যার পার্থক্য নির্ধারণকারী গ্রন্থ ৭৭ মক্কা ০৪২
২৬ আশ শুআরা الشّعراء কবিগণ ২২৭ মক্কা ০৪৭
২৭ আন নম্‌ল النّمل পিপীলিকা ৯৩ মক্কা ০৪৮
২৮ আল কাসাস القصص ঘটনা,কাহিনী ৮৮ মক্কা ০৪৯
২৯ আল আনকাবূত العنكبوت মাকড়সা ৬৯ মদীনা ০৮৫
৩০ আর রুম الرّوم রোমান জাতি ৬০ মদীনা ০৮৪
৩১ লোক্‌মান لقمان একজন জ্ঞানী ব্যক্তি ৩৪ মক্কা ০৫৭
৩২ আস সেজদাহ্ السّجدة সিজদাহ ৩০ মদীনা ০৭৫
৩৩ আল আহ্‌যাব الْأحزاب জোট ৭৩ মদীনা ০৯০
৩৪ সাবা سبا রানী সাবা ৫৪ মক্কা ০৫৮
৩৫ ফাতির فاطر আদি স্রষ্টা ৪৫ মক্কা ০৪৩
৩৬ ইয়াসীন يس ইয়াসীন ৮৩ মক্কা ০৪১
৩৭ আস ছাফ্‌ফাত الصّافات সারিবদ্ধভাবে দাড়ানো ১৮২ মক্কা ০৫৬
৩৮ ছোয়াদ ص আরবি বর্ণ ৮৮ মক্কা ০৩৮
৩৯ আয্‌-যুমার الزّمر দল-বদ্ধ জনতা ৭৫ মক্কা ০৫৯
৪০ আল মু'মিন غافر বিশ্বাসী ৮৫ মক্কা ০৬০
৪১ হা-মীম সেজদাহ্‌ فصّلت সুস্পষ্ট বিবরণ ৫৪ মক্কা ০৬১
৪২ আশ্‌-শূরা الشّورى পরামর্শ ৫৩ মক্কা ০৬২
৪৩ আয্‌-যুখরুফ الزّخرف সোনাদানা ৮৯ মক্কা ০৬৩
৪৪ আদ-দোখান الدّخان ধোঁয়া ৫৯ মক্কা ০৬৪
৪৫ আল জাসিয়াহ الجاثية নতজানু ৩৭ মক্কা ০৬৫
৪৬ আল আহ্‌ক্বাফ الأحقاف বালুর পাহাড় ৩৫ মক্কা ০৬৬
৪৭ মুহাম্মদ محمّد নবী মুহাম্মদ ৩৮ মদীনা ০৯৫
৪৮ আল ফাত্‌হ الفتح বিজয় (মক্কা বিজয়) ২৯ মদীনা ১১১
৪৯ আল হুজুরাত الحجرات বাসগৃহসমূূহ ১৮ মদীনা ১০৬
৫০ ক্বাফ ق আরবি বর্ণ ক্বাফ ৪৫ মক্কা ০৩৪
৫১ আয-যারিয়াত الذّاريات বিক্ষেপকারী বাতাস ৬০ মক্কা ০৬৭
৫২ আত্ব তূর الطّور পাহাড় ৪৯ মদীনা ০৭৬
৫৩ আন-নাজম النّجْم তারা ৬২ মক্কা ০২৩
৫৪ আল ক্বামার القمر চন্দ্র ৫৫ মক্কা ০৩৭
৫৫ আর রাহমান الرّحْمن অনন্ত করুণাময় ৭৮ মদীনা ০৯৭
৫৬ আল-ওয়াকিয়াহ الواقعة নিশ্চিত ঘটনা ৯৬ মক্কা ০৪৬
৫৭ আল-হাদীদ الحديد লোহা ২৯ মদীনা ০৯৪
৫৮ আল-মুজাদালাহ المجادلة অনুযোগকারিণী ২২ মদীনা ১০৫
৫৯ আল-হাশর الحشْر সমাবেশ ২৪ মদীনা ১০১
৬০ আল-মুমতাহিনাহ الممتحنة নারী, যাকে পরীক্ষা করা হবে ১৩ মদীনা ০৯১
৬১ আস-সাফ الصّفّ সারবন্দী সৈন্যদল ১৪ মদীনা ১০৯
৬২ আল-জুমুআ الجمعة সম্মেলন/শুক্রবার ১১ মদীনা ১১০
৬৩ আল-মুনাফিকুন المنافقون কপট বিশ্বাসীগণ ১১ মদীনা ১০৪
৬৪ আত-তাগাবুন التّغابن মোহ অপসারণ ১৮ মদীনা ১০৮
৬৫ আত-তালাক الطّلاق তালাক,বন্ধনমুক্তি ১২ মদীনা ০৯৯
৬৬ আত-তাহরীম التّحريم নিষিদ্ধকরণ ১২ মদীনা ১০৭
৬৭ আল-মুলক الملك সার্বভৌম কর্তৃত্ব ৩০ মক্কা ০৭৭
৬৮ আল-কলম القلم কলম ৫২ মক্কা ০০২
৬৯ আল-হাক্কাহ الحآقّة নিশ্চিত সত্য ৫২ মক্কা ০৭৮
৭০ আল-মাআরিজ المعارج উন্নয়নের সোপান ৪৪ মক্কা ০৭৯
৭১ নূহ نوح নবী নূহ ২৮ মক্কা ০৭১
৭২ আল জ্বিন الجنّ জ্বিন সম্প্রদায় ২৮ মক্কা ০৪০
৭৩ আল মুজাম্মিল المزّمّل বস্ত্র আচ্ছাদনকারী ২০ মক্কা ০০৩
৭৪ আল মুদ্দাস্সির المدّشّر পোশাক পরিহিত ৫৬ মক্কা ০০৪
৭৫ আল-ক্বিয়ামাহ القيامة পুনরুথান ৪০ মক্কা ০৩১
৭৬ আদ-দাহর الدَّهْرِ মানুষ ৩১ মদীনা ০৯৮
৭৭ আল-মুরসালাত المرسلت প্রেরিত পুরুষবৃন্দ ৫০ মক্কা ০৩৩
৭৮ আন নাবা النّبا মহাসংবাদ ৪০ মক্কা ০৮০
৭৯ আন নাযিয়াত النّزعت প্রচেষ্টাকারী ৪৬ মক্কা ০৮১
৮০ আবাসা عبس তিনি ভ্রুকুটি করলেন ৪২ মক্কা ০২৪
৮১ আত-তাকভীর التّكوير অন্ধকারাচ্ছন্ন ২৯ মক্কা ০০৭
৮২ আল-ইনফিতার الانفطار বিদীর্ণ করা ১৯ মক্কা ০৮২
৮৩ আত মুত্বাফ্‌ফিফীন المطفّفين প্রতারকগণ ৩৬ মক্কা ০৮৬
৮৪ আল ইন‌শিকাক الانشقاق খন্ড-বিখন্ড করণ ২৫ মক্কা ০৮৩
৮৫ আল-বুরুজ البروج নক্ষত্রপুঞ্জ ২২ মক্কা ০২৭
৮৬ আত-তারিক্ব الطّارق রাতের আগন্তুক ১৭ মক্কা ০৩৬
৮৭ আল আ'লা الأعلى সর্বোর্ধ্ব ১৯ মক্কা ০০৮
৮৮ আল গাশিয়াহ্‌ الغاشية বিহ্বলকর ঘটনা ২৬ মক্কা ০৬৮
৮৯ আল ফাজ্‌র الفجر ভোরবেলা ৩০ মক্কা ০১০
৯০ আল বালাদ البلد নগর ২০ মক্কা ০৩৫
৯১ আশ-শাম্‌স الشّمس সূর্য্য ১৫ মক্কা ০২৬
৯২ আল লাইল الليل রাত্রি ২১ মক্কা ০০৯
৯৩ আদ-দুহা الضحى পূর্বাহ্নের সূর্যকিরণ ১১ মক্কা ০১১
৯৪ আল ইনশিরাহ الشرح বক্ষ প্রশস্তকরণ মক্কা ০১২
৯৫ ত্বীন التين ডুমুর মক্কা ০২৮
৯৬ আলাক্ব العلق রক্তপিন্ড ১৯ মক্কা ০০১
৯৭ ক্বদর القدر পরিমাণ মক্কা ০২৫
৯৮ বাইয়্যিনাহ البينة সুস্পষ্ট প্রমাণ মদীনা ১০০
৯৯ যিলযাল الزلزلة ভূমিকম্প মদীনা ০৯৩
১০০ আল-আদিয়াত العاديات অভিযানকারী ১১ মক্কা ০১৪
১০১ ক্বারিয়াহ القارعة মহাসংকট ১১ মক্কা ০৩০
১০২ তাকাসুর التكاثر প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা মক্কা ০১৬
১০৩ আছর العصر অপরাহ্ন মক্কা ০১৩
১০৪ হুমাযাহ الهمزة পরনিন্দাকারী মক্কা ০৩২
১০৫ ফীল الفيل হাতি মক্কা ০১৯
১০৬ কুরাইশ قريش কুরাইশ গোত্র মক্কা ০২৯
১০৭ মাউন الماعون সাহায্য-সহায়তা মক্কা ০১৭
১০৮ কাওসার الكوثر প্রাচুর্য মক্কা ০১৫
১০৯ কাফিরুন الكافرون অস্বীকারকারীগণ মক্কা ০১৮
১১০ নাসর النصر বিজয়,সাহায্য মদীনা ১১৪
১১১ লাহাব المسد জ্বলন্ত অঙ্গার মক্কা ০০৬
১১২ আল-ইখলাস الإخلاص একনিষ্ঠতা মক্কা ০২২
১১৩ আল-ফালাক الفلق নিশিভোর মদীনা ০২০
১১৪আন-নাস الناس মানবজাতিমক্কা০২১

 

দুরুদে আকবর এর ২য় খন্ড

  দুরুদে আকবর এর ২য় খন্ড